প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০৩:৩৫ এএম
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ
প্রিমিয়ার লিগের (বিবিপিএল) ১২তম ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেও চট্টগ্রাম
চ্যালেঞ্জার্সের গড়া রানপাহাড় টপকাতে পারল না সিলেট সানরাইজার্স। বাধা হয়ে
দাঁড়ান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। কুড়ি বছরের এই অলরাউন্ডারের হ্যাটট্রিকে ১৬ রানে ম্যাচ
জিতে নিয়েছে চট্টগ্রাম।
২০৩ রানের বিশাল পাহাড় টপকাতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৬ রান তুলতে সমর্থ হয় সিলেট।
এদিন রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল সিলেট সানরাইজার্স। দলীয় ৯ রানে নাসুম আহামেদের বলে কেনার লুইসের দারুণ স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লিন্ডলে সিমন্স (৯)। এরপর জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন এনামুল হক বিজয় এবং কলিন ইনগ্রাম। দুজনেই ফিফটি তুলে নেন। এনামুল হক ৩২ বলে ক্যারিয়ারর ১১তম আর ইনগ্রাম ৩৬ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৪৪ নম্বর ফিফটি পূরণ করেন। মেহেদি মিরাজের করা পরের বলেই অবশ্য ইনগ্রাম বোল্ড হয়ে যান। অবসান হয় ৭৫ বলে ১১২ রানের দুর্দান্ত এক জুটির। এরপর উইকেটে এসেই নাসুম আহমেদের বলে স্টাম্পড হন আলাউদ্দিন বাবু (১)।
বিজয়ের সঙ্গী হন রবি বোপারা। তাদের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে ২০ বলে ৪২ রানের জুটি দাঁড়িয়ে যায়। এমন সময় বিজয়কে নাসুম আহমেদের তালুবন্দি করেন মৃত্যুঞ্জয়। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন বিজয়। ব্যাট করেছেন ১৬৫.৯৫ স্ট্রাইক রেটে। পরের বলে তার শিকার হন সিলেট অধিনায়ক মোসাদ্দেক (০)। পঞ্চম বলে রবি বোপারাকে (১২) বোল্ড করে মৃত্যুঞ্জয় হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। চলতি বিপিএলে এটি প্রথম হ্যাটট্রিক।
এরপর সিলেট আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৬ উইকেটে ১৮৬ রানেই তারা থামে। ১৬ রানের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। মৃত্যুঞ্জয়ের হ্যাটট্রিক ছাড়াও নাসুম নিয়েছেন ২ উইকেট। বেদম মার খেয়ে ৪ ওভারে ৩৯ দেয়া শরীফুল উইকেটশূন্য।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট সানরাইজার্স অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার কেনার লুইস এবং উইল জ্যাকস। মাত্র ৪.৪ ওভারে দুজনে গড়েন ৬২ রানের ওপেনিং জুটি। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন উইল জ্যাকস। তাসকিনকে বাউন্ডারি মেরে হাফ সেঞ্চুরি করার পরের বলেই সিমন্সের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। থামে ১৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ১২ বলে ৮ রান করা অপর ওপেনার কেনার লুইস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই সোহাগ গাজীর বলে সানজামুলের তালুবন্দি হন।
ঝড়ো শুরুর পর এই পর্যায়ে চট্টগ্রামের রান তোলার গতি কমে যায়। ৪৭ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেন পরের দুই ব্যাটার আফিফ হোসেন এবং সাব্বির রহমান। মোসাদ্দেকের বলে ক্যাচ দিয়ে ২৯ বলে ৩ চারে ৩১ রান করা সাব্বির আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আফিফও ২৮ বলে ১ চার ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করে রবি বোপারার শিকার হন। নতুন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ৭ বলে ৮ রান করেন।
ব্যাট হাতে বিধ্বংসী বেনি হাওয়েল খেলেন ২১ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। সদ্য নেতৃত্ব হারানো মেহেদি মিরাজও ৪ বলে ২ ছক্কায় ১৩ রান করে অবদান রাখেন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১০ বলে ৩১ রানের বিধ্বংসী জুটিতে চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২০২ রান। তাসকিনের শেষ ওভার থেকে এই দুজন তিন ছক্কায় নেন ২২ রান।
জেডআই/এম. জামান