প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম
আফ্রিকার সঙ্গে একে একে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ।
তবে আশা করা হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রথমে
মধ্যপ্রাচ্যে যাবে নারী ক্রিকেট দল। সেখান থেকে সোমবার (২৯ নভেম্বর) দেশে ফেরার
কথা তাদের।
আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে ৫
নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আর এ কারণেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথমবারের
মতো জায়গা করে নিল সালমা খাতুন, জাহানারা আলমরা।
এদিকে, অতি সংক্রমণ ভাইরাসের এ ধরন থেকে বাংলাদেশকে
রুখতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কঠোরভাবে পালন
করা হোক ক্রিকেটারদের কোয়ারিন্টাইন প্রক্রিয়া। বিসিবি বলছে, এ ব্যাপারে সরকারের
সবধরনের নির্দেশাবলি মানতে বাধ্য তারা।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎসব যেন পরিণত হচ্ছে বিষাদে। আতঙ্কের নাম কোভিড-১৯
এর নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। যা নিয়ে আবারও উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বে। বাদ যায়নি ক্রীড়াঙ্গনও।
প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়ে জ্যোতির দল গড়েছে ইতিহাস।
এবার রুমানা-সালমাদের দেশে ফেরার পালা। কিন্তু বিপত্তিটা ওখানেই।
আফ্রিকার সঙ্গে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সবধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করছে।
বাংলাদেশের করোনা পরামর্শক কমিটি থেকেও এসেছে একই মতামত। তবে কি দেশে ফেরার পথ
কঠিন হচ্ছে টাইগ্রেসদের? জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে ফেরার পর কঠোর হতে হবে নারী ক্রিকেটারদের কোয়ারিন্টাইন পর্ব।
জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক ডা. শেখ মইনুল খোকন বলেন, ‘ওমিক্রন ঠেকাতে
আমাদের নারী ক্রিকেটারদের মধ্যবর্তী একটি দেশে কোয়ানিন্টাইনে রাখা হয়তো ঠিক হবে না।
কিন্তু তারা দেশে আসলে তাদের ৭ দিন বা ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তারপর
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত পাঠাতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হবে যদি
২৮ দিন যথাযথ পর্যবেক্ষণে রাখা যায়।
করোনার গেল তিন ঢেউয়ে বিপর্যয় দেখেছে বাংলাদেশ। তাই এবার আর কোনো ঝুঁকি নিতে
চায় না বিসিবি। নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান বলছেন, গোটা প্রক্রিয়া
সমন্বয় করা হবে সরকারের সঙ্গে।
শামীম/ডাকুয়া