প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম
বড় স্কোর হতেই
পারত, কিন্তু হলো না। বাংলাদেশ
শেষ ৫ ওভারে ঝড়
তুলতে পারল না। হলো
মোটে ৪২ রান, খোয়াতে
হয়েছে একটি উইকেট। তাতেই
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬
উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে
স্বাগতিকরা। এই রানে কি
জেতা সম্ভব?
প্রশ্নটার
উত্তর ম্যাচ শেষেই জানা যাবে। উত্তর
সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন
তাসকিন-সাইফুদ্দিনরা। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
জুটি না ভাঙলে স্কোরবোর্ড
আরও বড় হতে পারত!
তবে যা হয়েছে, তা
নিয়েই কি লড়াই করা
সম্ভব মিরপুর শেরেবাংলার চেনা উইকেটে?
রোববার
(২৩ মে) সফরকারী শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের
প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে আগে
ব্যাট করে বাংলাদেশ। শুরুটা
মোটেও ভালো ছিল না
স্বাগতিকদের। লঙ্কানদের বিপক্ষে তামিম ইকবাল-মোহাম্মদ মিথুন পরপর বিদায় নেয়ায়
চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে
জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।
দলীয়
৯৯ রানে যখন চার
ব্যাটার বিদায় নেন ক্রিজ থেকে
তখন দেশের ক্রিকেটের ভায়রা ভাই খ্যাত মুশি-মাহমুদউল্লাহ হয়ে উঠলেন ত্রাণকর্তা।
ব্যাট হাতে আবারও হয়ে
গেলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। তাদের ব্যাটে দলীয় ২০০ পার
করে লাল-সবুজরা।
নিজের
ক্যারিয়ারের ৫১তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে
বিদায় নেন তামিম ইকবাল।
৭০ বলে ৫২ রানের
সাজানো ইনিংস তার। যেখানে চার
ছিল ছয়বার আর ছক্কা ছিল
একটি। পারলেন না নিজের ইনিংসকে
বড় করতে। তার আগে বিদায়
নেন লিটন দাস। শূন্যতে
ফেরেন তিনি। অথচ কয়েক দিন
আগে লিটনকে নিয়ে আশার কথা
শুনিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু তিন বল খেলে
এই ওপেনার ফিরে গেছেন দ্বিতীয়
ওভারেই।
দুষ্মন্থ
চামিরার অফস্টাম্পের বাইরের বল ঠিকমতো খেলতে
পারেননি। বল ব্যাটের কানায়
লেগে জমা পড়েছে প্রথম
স্লিপে। এ নিয়ে সর্বশেষ
৫ ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে
ব্যর্থ হলেন লিটন। এর
মধ্যে তিন ম্যাচেই বিদায়
নিয়েছেন শূন্যতে। আশা ছিল সাকিব
আল হাসানকে নিয়েও। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন
না তিনি।
৩৪
বল খেলে ১৫ রান
করেন তিনি। তার ছোট ইনিংসে
চারের মার ছিল মাত্র
২টি। ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে দলে রাখা হয়েছে
মোহাম্মদ মিথুনকে। কিন্তু এবারও তিনি ব্যর্থ। ক্রিজে
মাত্র একবল স্থায়ী ছিলেন
মিথুন। মোদ্দাকথা দলীয় শতরানের আগেই
চার উইকেট হারিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে শুরু করে
স্বাগতিকরা।
সেখান
থেকে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ।
ধীরগতির পিচে মুশি ধীরেসুস্থে
খেললেও অপরপ্রান্ত আগলে খেলেন মাহমুদউল্লাহ।
ক্যারিয়ারের ৪০তম অর্ধশতক করেন
মুশি। চারটি বাউন্ডারি আর একটি ওভার-বাউন্ডারিতে দারুণ খেলে যাচ্ছিলেন তিনি।
সঙ্গে যোগ্য সঙ্গী ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাদের ১২২ বলে ১০৯
রানের জুটিতে বেশ ভালোভাবেই সাময়িক
বিপর্যয় সামলে নেয় লাল-সবুজরা।
৭৬
বলে ৫৪ রানের ইনিংস
খেলে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে
আক্ষেপ ছিল অনেক। কারণ
সেই সময়টায় আফিফ হোসেনকে সঙ্গ
দিতে পারলে দলীয় স্কোর আরো
বাড়ানো যেত। তবুও যতটা
হয়েছে তার জন্য আফিফের
নাম না বললেই নয়।
কারণ ২২ বল খেলে
৩ চারে ২৭ রানে
অপরাজিত থাকেন তিনি। সাইফউদ্দিন ভালো খেলার চেষ্টা
করেও আজকে ছিলেন ফ্লপ।
৯ বলে ১৩ রান
করেন তিনি। হয়তো বল হাতে
নিজেকে চেনানোর জন্যই বাকিটা রেখেছেন তিনি।
২৫৮
রানের টার্গেট, খুব একটা বড়
কিছু না হলেও তাসকিন-মোস্তাফিজ কিংবা সাকিব-আফিফের বোলিংয়ে কিভাবে আটকাতে পারে টাইগাররা, তাই
এখন দেখার বিষয়।
হাসিব/জেডসি/এম. জামান