প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১, ১২:৪৮ এএম
রেফারির শেষ বাঁশি বাজল। বাংলাদেশের ডাগ-আউটে বয়ে গেল উচ্ছ্বাসের ঝড়। কোনো
ট্রফি নয়, গ্রুপ পর্বের সাধারণ একটি ম্যাচ জয়। এরপরও এই
জয় জামালদের এনে দিয়েছে বিশেষ প্রশান্তি। ২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল
মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি।
মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়। অথচ একটা সময়
মালদ্বীপকে নিয়ে ছেলেখেলা করত বাংলাদেশ। গোলের পর গোল দিত মালদ্বীপের জালে। সেই
অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ে উচ্ছ্বাস তো বয়েই
যাবে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বাংলাদেশ পয়েন্ট
হারিয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) অবশ্য ভাগ্যবিধাতা বাংলাদেশের দিকে তাকিয়েছে। ৮৭
মিনিটে বাংলাদেশ মালদ্বীপের বিপক্ষে পেনাল্টি পায়। সেই পেনাল্টি থেকে তপু বর্মণ
গোল করেন। এই গোলে বাংলাদেশ ২-১ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছে।
২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ আর মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি। ১৮ বছর পর জামাল-তপুদের
হাত ধরে এল এই জয়। গত মাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এই মালদ্বীপের বিপক্ষে মালেতে
বাংলাদেশ ০-২ গোলে হেরেছিল। এই জয়ে সাফের সেই হারানো ক্ষতেও কিছুটা প্রলেপ লাগল।
গত ম্যাচে বাংলাদেশ সিশেলসের বিপক্ষে হেরেছিল ৮৭ মিনিটের গোলে। সাফে নেপাল
বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টি পেয়েছিল ৮০ মিনিটের পর। এবার অবশ্য ঘটনা উল্টো হয়েছে।
৮৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। জুয়েল রানাকে বক্সের মধ্যে অবৈধভাবে ফেলে দেন
মালদ্বীপের গোলরক্ষক।
রেফারি পেনাল্টির বাঁশির পাশাপাশি গোলরক্ষককে কার্ড দেখান। তপু বর্মণ পেনাল্টি
শট নেন। ডিফেন্ডার হলেও তিনি পেনাল্টিতে খুবই সিদ্ধহস্ত। তপু বর্মণের নেয়া শট
ঠেকাতে মালদ্বীপের গোলরক্ষক বাঁ দিকে ঝাঁপ দেন। তপু শট ডান দিকে কোনাকুনি শট নেন।
বাংলাদেশ ২-১ গোলের লিড পায়।
ম্যাচের তখন ১০ মিনিট। মালদ্বীপের অর্ধে থ্রো ইন করে বাংলাদেশ। ডিফেন্ডার রহমত
মিয়া লম্বা থ্রো করেন। বক্সের মধ্যে তৈরি হয় জটলা। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড ও
মালদ্বীপের ডিফেন্ডাররা হেডের জন্য লাফালেও বল পাননি। বল ড্রপ করে বাংলাদেশের
অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার কাছে যায়। জামাল ফাঁকা পোস্টে গোল করতে ভুল করেননি।
গোললাইন ক্রস করার আগেই সহকারী রেফারি অফ-সাইডের পতাকা উঠান। বাংলাদেশের
ফুটবলাররা রেফারিকে জেরা করেন। রেফারি কিছুটা সময় নিয়ে সহকারী ও চতুর্থ রেফারির
সঙ্গে আলোচনা করে গোলের বাঁশি বাজান।
বাংলাদেশ লিড নেয়ার পর আরও আক্রমণাত্মক খেলে। গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে
পারেনি। ৩২ মিনিটে মালদ্বীপ ম্যাচে সমতা আনে। আলী আশফাকের কর্নার বাংলাদেশের
ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। মালদ্বীপের ফরোয়ার্ড আনমার্কড ছিলেন। প্লেসিংয়ে
ম্যাচে সমতা আনেন।
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চার পয়েন্ট নিয়ে
বাংলাদেশ ফাইনালে পথে রয়েছে।
শামীম/এম. জামান