প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১, ০৩:৩৭ পিএম
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে
হারিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রাজসিক যাত্রা শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু
শুরুর মতো শেষটা সুখকর হয়নি তাদের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়
নিতে হয়েছে বাবর আজমদের। তাই বলে দেশের ফেরার সুযোগ নেই। একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
খেলতে দুবাই থেকে ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছে পাক
দল।
টাইগারদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ঢাকায় পা রাখে পাকিস্তান দল। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসে দলটি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এসেছিল পাকিস্তান। সেবার ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হারের বিস্বাদ নেয় দলটি। এরপর দুই টেস্টের সিরিজে অবশ্য ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান।
করোনাকালে আয়োজিত হলেও এই সিরিজে কোনো প্রকারের কোয়ারেন্টিন জটিলতায় পড়তে হচ্ছে না বাবর আজমদের। এক দিন বিশ্রাম নিয়ে রোববার (১৪ নভেম্বর) অনুশীলনে নেমে পড়বে চলমান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা। তবে এক্ষেত্রে শর্ত অবশ্য আছে একটা। অনুশীলনে নামার আগে শনিবার পুরো দলকে যেতে হবে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। সেখানে নেগেটিভ এলে তবেই মিলবে অনুশীলনে নামার ছাড়পত্র।
পাকিস্তানের এবারের বাংলাদেশ সফরে নেই কোনো ওয়ানডে সিরিজ। সিরিজ শুরু হবে টি-টোয়েন্টি দিয়ে। আগামী ১৯ নভেম্বর সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলবে দুই দল। এরপর দিনই দ্বিতীয় ম্যাচ। শেষ টি-টোয়েন্টিটা হবে ২২ নভেম্বর।
এরপরই শুরু লাল বলের লড়াই। দুই দলের মধ্যকার প্রথম টেস্টটি হবে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এই সিরিজ দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের দ্বিতীয় আসরের যাত্রা শুরু হবে মুমিনুল হকদের।
জেডআই/ডাকুয়া