প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০৬:১৮ পিএম
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহকে রোববার (১৭ অক্টোবর) হঠাৎ করে গ্রেফতার
হয়। তবে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের মতো তাকে ভুগতে হয়নি। দ্রুত জামিনও পেয়ে
যান ভারতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। কিন্তু কেন গ্রেফতার হয়েছিলেন যুবরাজ?
যুবরাজের বিপক্ষে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ ছিল। ঘটনাটি প্রায় দেড় বছর আগের। রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম ভিডিও চ্যাটে তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন। যা পরবর্তীতে বণবৈষম্যের অভিযোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রোহিত শর্মার সঙ্গে চ্যাট করার আগে নেটমাধ্যমে একটি নাচের ভিডিও পোস্ট
করেছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তা নিয়ে রোহিতকে যুবরাজ বলেছিলেন, ‘এই ভাঙ্গি যুজির (চহাল) আর কোনো কাজ নেই।’
যুবরাজের বিরুদ্ধে জাতি বৈষম্যমূলক মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে। এসসিএসটি আইনের ৩(১)(ইউ) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ এবং ১৫৩ বি ধারায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। হরিয়ানার হিসার জেলার হান্সী শহরের রজত কালসান নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই রোববার গ্রেফতার হন যুবরাজ। পরে অন্তর্বর্তী জামিনও পেয়ে যান। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে, সেটিও তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
চাহালের বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করার পরেই যুবরাজ টুইটারে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন।
লিখেছিলেন, ‘আমি কখনও কোনো জাতি, বর্ণ, ধর্ম অথবা লিঙ্গের বৈষম্যে বিশ্বাস করিনি। সারা
জীবন মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি মানুষকে মর্যাদা দেওয়ায় বিশ্বাস করি। মানুষ একে
অপরকে নিঃস্বার্থভাবে সম্মান করুক,
এটাই চেয়ে এসেছি।
বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমার একটি কথার অন্য অর্থ করা হয়েছে, যেটা অনভিপ্রেত। ভারতের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি যদি কারও ভাবাবেগে
আঘাত করে থাকি, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি ভারতকে ভালবাসি আর
ভারতবাসী সব সময় আমার অন্তরে থাকে।’
শামীম/ডাকুয়া
