প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০৬:০০ পিএম
যে কোনো টুর্নামেন্টে জয় দিয়ে শুরুতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। পরের ম্যাচে
কিছুটা হলেও নির্ভার থাকা যায়। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের এমনই
নির্ভার থাকার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। নির্ভার তো দূরের কথা
মাহমুদউল্লাহ’র মাথায় এখন রাজ্যের দুঃশ্চিন্তা। প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সে
প্রচণ্ড হতাশ তিনি। এতটাই যে, ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকবার
‘ফাস্ট্রেটেড’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
‘অবশ্যই আমি ফাস্ট্রেটেড।
এই মুহূর্তে আমার ফাস্ট্রেটেড না হয়ে কোনো উপায়ও নেই। ব্যাটিংটাই আমাদের মূল
চিন্তার বিষয়। আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে।’
দলের ব্যাটিং নিয়ে মাহমুদউল্লাহর চিন্তিত না হয়েও উপায় নেই। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও রান পাননি ব্যাটাররা। স্লো মিরপুর শের-ই বাংলার
স্লো উইকেটের দোহাই দিয়ে ব্যাটাররা সেটি গায়েও মাখেননি।
সৌম্য সরকার বিশ্বকাপ শুরুর আগে এক সাক্ষাৎকারে রান না পাওয়া নিয়ে বলেছিলেন, ‘রান না পাওয়াতে আমি চিন্তিত না,
মিরপুরে কেউই রান পায়নি।’
কিন্তু আল আমিরাতের স্পোর্টিং উইকেটেও ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সৌম্য
নিজে আউট হয়েছেন মাত্র ৫ রানে। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল
হাসান-মাহমুদউল্লাহরা থিতু হওয়ার পর আউট হয়েছেন। তাদের প্রশ্নবিদ্ধ ধীরগতির
ব্যাটিং চাপে ফেলে বাংলাদেশকে। সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে বিপদে ফেলেন দলকে।
১৪১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে লাল সবুজের দল থামে ১৩৪ রানে। মুশফিক ৩৬ বলে ৩৮, সাকিব ২৮ বলে ২০ ও মাহমুদউল্লাহ করেন ২২ বলে ২৩ করেন। এই ৩ জনের বল ও রানের
সংখ্যার দিকে তাকালে বোঝা যাবে কোথায় ছিল ঘাটতি।
বাংলাদেশের সামনে এবার ওমান। স্বাগতিক দেশটি পাপুয়া নিউগিনিকে প্রথম ম্যাচে
উড়িয়ে দিয়েছে ১০ উইকেটে। চাপকে জয় করে মাহমুদউল্লাহর দল কি পারবে উড়ন্ত ওমানকে
হারিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে?
শামীম/ডাকুয়া