প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০৫:২৯ পিএম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে
স্কটল্যান্ডের কাছে হারায় স্বপ্ন পূরণের পথটা কঠিন হয়ে পড়েছে। ৬ রানে হেরে
টুর্নামেন্টের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে গেছে।
স্কটল্যান্ডের করা ১৪০ রানের জবাবে বাংলাদেশ জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে
বাংলাদেশের ব্যাটাররা পথ হারায়। আর তাতেই জয় থেকে অল্প দূরে থেমে যেতে হয়
বাংলাদেশকে।
এক পর্যায়ে ৪২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৬৭ রান। ক্রিজে তখন সেট ব্যাটসম্যান
মুশফিকুর রহিম ও নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সহজ
লক্ষ্যমাত্রা বলা যায়। কিন্তু মুশফিক যা করলেন ক্রিকেটভক্তদের জন্য তা মেনে
নেওয়াটা কষ্টকর। অহেতুক স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। অথচ তিনি থাকলে
দলকে এমন পরিস্থিতি দেখতে হতো না। দল সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারত।
মুশফিকুর রহিমের এমন কাণ্ডে আল আমিরাতের গ্যালারিতে লাল সবুজের দর্শকদের
গগণবিদারী চিৎকার রূপ নেয় শ্মশানে। একজন তো বলেই ফেললেন, ‘এ কী করলেন মুশফিক?’ আসলেই তো বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ এমন
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঝুঁকি নিতে গেলেন কেন?
রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে ম্যাচ শেষে মুশফিকের এই আউটকেই ম্যাচের টার্নিং
পয়েন্ট বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ‘আমার মনে হয় মুশফিকের উইকেটটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। মুশি আজকে ভালোই
খেলছিল। একজন সেট ব্যাটসম্যানের উইকেটে থাকাটা খুবই জরুরি। ব্যাটিংটা আমাদের খুবই
হতাশাজনক হয়েছে। এটা আসলেই চিন্তার বিষয়।’
মুশফিক আউট হয়েছেন ৩৬ বলে ৩৮ রান করে। এ ছাড়া সাকিবও সেট হয়ে আউট হন (২৮ বলে
২০)। দুই ওপেনার ৫ রান করে আউট হওয়ার পর সাকিব-মুশফিকের ব্যাটেই লড়ছিল বাংলাদেশ।
এরপর মাহমুদউল্লাহ-আফিফও সেট হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন। সবকিছু মিলিয়ে
ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে হতাশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘খুবই হতাশাজনক। আমি মনে করি ফ্ল্যাট উইকেটে ১৪০
চেজেবল স্কোর। আমাদের ব্যাটিং ইউনিটে বেশ ক্লিছু সমস্যা ছিল, যা আমি আগেই বলেছি। আমরা সেই ভুলগুলো শুধরে সামনের ম্যাচে কাজে লাগাব। মাঠ
এবং উইকেট দুর্দান্ত ছিল। দর্শকের বেশ ভালো সাপোর্ট আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু যা
হয়েছে তা হতাশাজনক।’
আগামী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওমান। প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে
তাদের বিপক্ষে নামতে চান মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এটা আসলেই
চিন্তার বিষয়। আমাদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে
এসব ভুল যেন সামনের ম্যাচে আর না হয়।’
বোলারদের সম্পর্কে অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয়
বোলাররা ঠিক পথেই ছিল। তারা ৬০ রানের ভেতরই ৬ উইকেট ফেলে দিতে পেরেছে। কিন্তু এর পর
বড় পার্টনারশিপ দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আমি মনে করি স্কটল্যান্ডের ওই দুই ব্যাটার আমাদের
চেয়ে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে।’
শামীম/ডাকুয়া