প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১, ০২:৩৯ পিএম
যে দেশের ঘরোয়া লিগ যত
উন্নত, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের সাফল্যও বেশি। কিন্তু গেল দুই দশক ধরেই
অনিয়মিত দেশের হকি লিগ। সেই ধারায় তিন বছর পর টার্ফে গড়াচ্ছে ঢাকা হকি লিগ। তাই
শুরু হয়েছে দলবদল। ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই দলবদলে অংশ নিয়েছে মোহামেডান, আবাহনী
ও মেরিনার্সের মতো ক্লাবগুলো। কিন্তু এই দলবদলে দল খুঁজে পাননি জাতীয় দলের
গোলরক্ষক অসীম কুমার গোপ।
হকি ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী সার্ভিসেস বাহিনীর সর্বোচ্চ পাঁচজন খেলোয়াড়কে দলে নিতে পারবে ক্লাবগুলো। গোলরক্ষকেরা সাধারণত এই নিয়মের বাইরে থাকেন। এবার সেই নিয়মের মধ্যে থাকায় আটকে গেছেন অসীম।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই খেলবে আমি বসে দেখব। ভাবতেই খারাপ লাগছে। মোহামেডান থেকে আমাকে ভালো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি অর্থও পেয়েছি। গোলরক্ষক কোটা ওঠানোর জন্য তারা চেষ্টাও করেছে, শেষ পর্যন্ত হয়নি।’
এই প্রসঙ্গে হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ বলেন, ‘বাইলজ সকল ক্লাবের অনুমতি নিয়ে এটি নির্ধারিত হয়েছে। গোলরক্ষককে কোটার মধ্যে হিসাব করেই সব ক্লাব দল করেছে। ফলে শেষ মুহূর্তে এই বিষয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।’
মোহামেডান অসীমকে বাদ দিয়ে রাসেল মাহমুদ জিমি, ইমরান হাসান পিন্টু, সারওয়ার, কৌশিক ও আশরাফুলের নাম জমা দেয়। অসীম না পিন্টু—দুইজনের মধ্যে কাকে বাদ দেবে মোহামেডান এ নিয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় ছিল। শেষ পর্যন্ত জিমির বন্ধু, সিনিয়র খেলোয়াড়, চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য—এসব বিবেচনায় ডিফেন্ডার পিন্টুকে নেয় মোহামেডান।
মোহামেডানের হকি দলের ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স বলেন, ‘গোলরক্ষকদের কোটার বাইরে রাখার জন্য হকি ও খেলোয়াড়দের স্বার্থে অনেক আগে থেকেই দাবি জানানো হয়েছিল। সেটা ফেডারেশন মানেনি। আমরা অসীমকে দলভুক্ত না করতে পারলেও তার পাশে আছি।’
অসীমের শেষ সম্বল হকি ফেডারেশনের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘সভাপতি স্যারের কাছে আবেদন জানাব। আমাকে লিগে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’ জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক রাসেল খান বাপ্পি অসীমের মতো সংকটে পড়েছিলেন। সভাপতির বিশেষ অনুমতিতে তিনি লিগ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
জেডআই/এএমকে