প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০১:৪৭ পিএম
সেভিয়া বনাম রেড বুল সালজবুর্গের ম্যাচটি দুর্দান্ত এক রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে।
প্রথমার্ধেই চার-চারটা পেনাল্টি দেখেছে এই ম্যাচ। যার মধ্যে সালজবুর্গই পেয়েছিল
তিনটি পেনাল্টি। বাকিটা ছিল সেভিয়ার। তিন পেনাল্টি পাওয়া সত্ত্বেও জিতে মাঠ ছাড়তে
পারেনি অস্ট্রিয়ান ক্লাবটা। ড্র করেছে ১-১ গোলে। তিন পেনাল্টির মধ্যে মাত্র
একটিতেই গোল করতে পেরেছে সালজবুর্গ। ওদিকে সেভিয়া যে একটা পেনাল্টি পেয়েছে, কাজে লাগাতে পেরেছে। শেষমেশ সমতাতেই
শেষ হয়েছে ম্যাচ। তবে এই ফলাফলে সালজবুর্গের কেউ সন্তুষ্ট হবেন না, নিশ্চিত!
আদেয়ামিকে আটকেই
রাখতে পারছিলেন না সেভিয়ার ডিফেন্ডাররা। ১২ মিনিটে ডি-বক্সে আদেয়ামিকে আটকে রাখতে
না পেরে ফাউল করে বসেন সেভিয়ার ব্রাজিলিয়ান সেন্টারব্যাক দিয়েগো কার্লোস। ফলাফল? পেনাল্টি পায় সালজবুর্গ। কিন্তু
আদেয়ামির কপাল খারাপ। সাহস করে পেনাল্টি নিতে এসে গোল করতে পারেননি। ২১ মিনিটে
আবারও আদেয়ামির কল্যাণে পেনাল্টি পায় সালজবুর্গ। আদেয়ামি আগেরবার মিস করেছিলেন
দেখে কিনা, এবার
তাকে পেনাল্টি নিতে দেওয়া হলো না। দৃশ্যপটে আগমন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা
সুচিচের। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুচিচ।
৩৭ মিনিটে আবারও
সেভিয়ার ডি-বক্সে আদেয়ামির তাণ্ডব। তৃতীয় পেনাল্টি পেয়ে যায় সালজবুর্গ। আবারও
পেনাল্টি নিতে আসেন সুচিচ। কিন্তু বিধি বাম। এবার আর গোল করতে পারেননি এই
ক্রোয়েশিয়ান। তিন পেনাল্টি থেকে তিন গোল হবে কী, একটা গোল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো অস্ট্রিয়ার
ক্লাবটাকে। ওদিকে ৪২ মিনিটে মরোক্কান স্ট্রাইকার ইউসুফ এন-নেসেরির কল্যাণে এবার
পেনাল্টি পায় সেভিয়া। পেনাল্টি নিতে আসেন সাবেক বার্সা তারকা ইভান রাকিতিচ।
পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। কিন্তু তা সত্বেও আলোচনা হচ্ছে শুধু
আদেয়ামিকে নিয়েই।
২০০৩-০৪ মৌসুম
থেকে এমন ঘটনা কখনো দেখেনি ফুটবল। এমনকি, গোটা ম্যাচে চার পেনাল্টি হয়েছে, এমনও কখনো দেখা যায়নি আগে! এক মৌসুমে
সর্বোচ্চ পেনাল্টি আদায় করার কথা বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক ডাচ্ উইঙ্গার আরিয়ান
রোবেনের। ২০১৩-১৪ মৌসুমে গোটা টুর্নামেন্ট খেলে চারটা পেনাল্টি আদায় করেছিলেন
তিনি। আর এদিকে আদেয়ামি এক ম্যাচেই আদায় করেছেন তিনটা। রোবেনের রেকর্ডের অস্তিত্ব
থাকে কি না, কে
জানে! ম্যাচসেরাও হয়েছেন আদেয়ামি।
সবুজ/ডাকুয়া