প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ১০:১৫ পিএম
হাদিস : আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, যার কাছে আমার উল্লেখ করা হলো অথচ আমার ওপর দরুদ পাঠ করল না। ওই ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, যার জীবনে রমজান মাস এলো কিন্তু তাকে ক্ষমাপ্রাপ্ত না করেই তা অতিবাহিত হয়ে গেল। ওই ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, যে তার মাতা-পিতাকে (বা তাদের একজনকে) বৃদ্ধাবস্থায় পেল কিন্তু তাদের খেদমত করার মাধ্যমে সে জান্নাতি হতে পারল না। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৫)
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে যাবতীয় কল্যাণের পথপ্রদর্শন করেছেন এবং তাদের কল্যাণকামী হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। একইভাবে তিনি মানুষকে জাহান্নামের পথ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। আলোচ্য হাদিসে মহানবী (সা.) তিনটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন : ক. যে নবীজি (সা.)-এর নামে দরুদ পাঠ করে না, খ. যে রমজান মাসে ক্ষমা লাভ করতে পারল না, গ. যে বৃদ্ধ মা-বাবার সেবা করে জান্নাত লাভ করতে পারল না। আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ না করা সীমাহীন কার্পণ্য ও মানবজাতির প্রতি তাঁর অনুগ্রহ অস্বীকারের শামিল। রমজানে আল্লাহ রহমতের দুয়ার খুলে দেন, ইবাদতের সওয়াব বৃদ্ধি করেন, শয়তানকে শৃঙ্খলিত করেন, বহুসংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করেন, তার পরও কোনো ব্যক্তি ক্ষমা লাভে ব্যর্থ হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। ইসলাম মা-বাবার সন্তুষ্টিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তাদের অসন্তুষ্টিকে আল্লাহর অসন্তুষ্টি বলে আখ্যা দিয়েছে, তাই সবার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা আবশ্যক।