• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পবিত্র কুরআনের ১১ পারার সারাংশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম

পবিত্র কুরআনের ১১ পারার সারাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

 

সুরা তাওবার ৯৪ নম্বর আয়াতে এই উপদেশ দেয়া হচ্ছে যে, মিথ্যা অজুহাত ও ছলচাতুরী থেকে দূরে থাক; তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করা মুনাফিকরা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে মিথ্যা অজুহাত পেশ করতে লাগল।

তখন তাদের বলা হলো- মিথ্যা-বানোয়াট কোনো কাজে আসবে না। আল্লাহ তোমাদের ধোঁকাবাজি-ছলচাতুরী আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। 
তার কাছে তোমাদের কোনো ধোঁকাবাজি গোপন নেই। তিনি অচিরেই তোমাদের পাপের শাস্তি দেবেন।

আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচতে সব মুসলমানের মিথ্যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, তারা তোমাদের কাছে অজুহাত পেশ করবে, যখন তোমরা তাদের কাছে ফিরে যাবে; (হে নবী) আপনি বলে দিনঃ তোমরা অজুহাত পেশ করো না। আমরা কখনো তোমাদের সত্যবাদী বলে মনে করব না, আল্লাহ তোমাদের (জিহাদে না যাওয়ার) বৃত্তান্ত জানিয়ে দিয়েছেন, আর ভবিষ্যতেও আল্লাহ এবং তার রাসুল তোমাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করবেন। অতঃপর তোমরা ফিরে যাবে এমন সত্তার কাছে যিনি অদৃশ্য এবং প্রকাশ্য সব বিষয় জানেন। অতঃপর তিনি তোমাদের জানিয়ে দেবেন যা কিছু তোমরা করেছিলে।

সুরা তাওবার ৯৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, আর মরুবাসীর মধ্যে কতিপয় লোক এমনও আছে, যারা আল্লাহর প্রতি এবং কিয়ামাত দিনের প্রতি পূর্ণ ইমান রাখে, আর যা কিছু ব্যয় করে তা আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় ও রাসুলের দোয়া লাভের উপকরণ রূপে গ্রহণ করে। স্মরণ রেখ, তাদের এই ব্যয় নিঃসন্দেহে তাদের জন্য (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের কারণ। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের নিজের রহমতের ছায়াতলে প্রবেশ করাবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহপাক অতি ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।

সুরা তাওবার ১১৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, হে মু’মিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।

আল্লাহ তায়ালা ৬ দিনে আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন- সুরা ইউনুসের ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহই হচ্ছেন তোমাদের প্রভু, যিনি আসমানসমূহকে এবং জমিনকে সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে।

সুরা ইউনুসের ৩১ ও ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, তুমি বলো- তিনি কে, যিনি তোমাদের আসমান ও জমিন হতে রিজিক পৌঁছিয়ে থাকেন? অথবা কে তিনি, যিনি কর্ণ ও চক্ষুসমূহের ওপর পূর্ণ অধিকার রাখেন? আর তিনি কে, যিনি জীবন্তকে প্রাণহীন হতে বের করেন, আর প্রাণহীনকে জীবন্ত হতে বের করেন? আর তিনি কে যিনি সব কাজ পরিচালনা করেন? তখন অবশ্যই তারা বলবে- আল্লাহ! অতএব তুমি বল, তা হলে কেন তোমরা (শির্ক হতে) বিরত থাক না।

সুতরাং তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ, যিনি তোমাদের প্রকৃত রব, অতএব সত্যের পর ভ্রষ্টতা ছাড়া আর কি রইল? তা হলে তোমরা (সত্যকে ছেড়ে) কোথায় ফিরে যাচ্ছ?

কুরআন হচ্ছে উপদেশ, রোগাক্রান্ত হৃদয়ের ওষুধ ও হেদায়েতের কিতাব- সুরা ইউনুসের ৫৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, (হে মানবজাতি!) তোমাদের কাছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এমন বিষয় অবতীর্ণ হয়েছে, যা হচ্ছে উপদেশ এবং আত্মিক সব রোগের ওষুধ , আর মুমিনদের জন্য এটা পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ।

আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপকারী কখনো সফল হবে না- সুরা ইউনুসের ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, যারা আল্লাহর ওপর মিথ্যা রচনা করে নিশ্চয়ই তারা সফলকাম হবে না।

লাভ-ক্ষতির মালিক একমাত্র আল্লাহ- সুরা ইউনুসের ১০৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, আল্লাহ যদি তোমাকে কোনো কষ্টে ফেলেন তা হলে তিনি ছাড়া কেহ তা দূরকারী নেই, আর যদি তিনি তোমার প্রতি কোনো কল্যাণ ও শান্তি পৌঁছাতে চান তা হলে তার অনুগ্রহ কেউ সরাতে পারবে না; তিনি নিজ অনুগ্রহ নিজের বান্দাদের মধ্য হতে যাকে চান দান করেন এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও অতিশয় দয়ালু।

দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের গবেষণা বিভাগ থেকে অনূদিত

 

আর্কাইভ