প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ১০:০৪ পিএম
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের ও সক্ষম নারী ও পুরুষের নামাজ, রোজাসহ শরিয়তের সব হুকুম পালন করা ফরজ। রোজা ও নামাজ ফরজ হওয়ার জন্য বয়স মুখ্য নয়, কেউ বালেগ হলে বা সাবালকত্ব অর্জন করলে তার ওপর রোজা ও নামাজ ফরজ হয়ে যায়।
মূলত শরীর স্বাস্থ্য বৃদ্ধি, বংশগত, খাদ্যাভ্যাসসহ বিভিন্ন প্রভাবক ও কিছু উদ্দীপক এ ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। এ সময় ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়, আচরণে পার্থক্য ও নতুনত্ব আসে। নারী বা পুরুষ সত্তার বিকাশ, প্রকাশ ও স্বাতন্ত্র সৃষ্টি হয়। এ সময় থেকে রোজা পালন ও নামাজ আদায় করা ফরজ হয়।
নামাজ-রোজা ফরজ হলে তা পালন না করলে কাজা আদায় করতে হয়; রোজা রেখে ভাঙলে কাফফারাসহ আদায় করতে হয়। এ সময় থেকে তাদের সওয়াব ও গুনাহ লেখা শুরু হয়। অবহেলা করে রোজা না রাখা অনেক বড় গুনাহ।
মা-বাবা বা অভিভাবক যদি তাদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করেন, তাহলে তারাও গুনাহগার হবেন। তবে কেউ অসুস্থ বা অক্ষম হলে তার জন্য কাজা বা ফিদইয়ার বিধান রয়েছে।
আরআই/এএল