প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম
এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করলে রোজা ভেঙে যায়। এগুলো নারী-পুরুষ সবার জন্য প্রযোজ্য। যেমন: ইচ্ছা করে বমি করা, বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা, ইসলাম ত্যাগ করলে, কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে, রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে। এমন আরও অনেক কারণ রয়েছে, যেগুলোর ফলে রোজা ভেঙে যায়।
তবে পুরুষের চেয়ে নারীদের আলাদা কিছু কারণ রয়েছে। যার ফলে তাদের রোজা ভেঙে যায়। জেনে নিই কারণগুলো- নারীদের রোজা ভেঙে যায় এবং করণীয় কী-
হায়েজ ও নিফাসের কারণে নারীদের রোজা ভেঙে যায়। নবী করিম (সা.) বলেন- ‘যখন নারীদের হায়েজ হয়, তখন কি তারা নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না!?’ (সহিহ বুখারি-৩০৪)
তাই কোনো নারীর হায়েজ কিংবা নিফাস শুরু হলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এমনকি সেটা সূর্যাস্তের সামান্য কিছু সময় আগে হলেও। আর কোনো নারী যদি অনুভব করেন যে, তার হায়েজ শুরু হতে যাচ্ছে, কিন্তু সূর্যাস্তের আগপর্যন্ত রক্ত বের হয়নি, তাহলে তার রোজা শুদ্ধ হবে। সে দিনের রোজা তাকে কাজা করতে হবে না।
আর হায়েজ ও নিফাসগ্রস্ত নারীর রক্ত যদি রাত থাকতে বন্ধ হয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি রোজার নিয়ত করেন, তাহলে গোসল করার আগেই রোজা ফজর হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আলেমদের মতামত হচ্ছে তার রোজা শুদ্ধ হবে।
হায়েজবতী নারীর জন্য উত্তম হচ্ছে তার স্বাভাবিক মাসিক অব্যাহত রেখে আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন সেটার ওপর সন্তুষ্ট থাকা। হায়েজ রোধকারী বা মাসিক বন্ধ করার জন্য কোনো কিছু ব্যবহার না করা। আল্লাহ তার থেকে যেভাবে গ্রহণ করেন সেটা মেনে নেয়া। আর হায়েজের সময় রোজা ভাঙা এবং পরবর্তী সময়ে সেই রোজা কাজা পালন করা। উম্মুল মুমিনগণ এবং সলফে সালেহীন নারীগণ এভাবেই রোজায় আমল করতেন।
নারীদের যদি হায়েজ হয় অথবা নেফাজ হয় অর্থাৎ রক্তস্রাব হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এ ক্ষেত্রে শুধু কাজা রোজা আদায় করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবে না। এটা আল্লাহ মেয়েদের বিশেষভাবে ছাড় দিয়েছেন। আর মাসিক অবস্থায় যে নামাজ কাজা হয়ে গেছে তা আদায় করতে হবে না।
তবে সহবাসের কারণে রোজা ভেঙে গেলে কাজা এবং কাফফারা দুটোই আদায় করতে হবে।
এএল/