প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম
শুরু হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের পবিত্রতম মাস রমজান। রোজার প্রধান শর্ত হচ্ছে সেহরির পর থেকে ইফতার পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা। তবে রোজা রেখে স্কুল, অফিস বা অন্যান্য কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই মনের অজান্তেই এমন কিছু করে ফেলেন যাতে রোজা ভেঙে যায়। ঢাকা ট্রিবিউনের পাঠকদের জন্য তাই রোজা ভঙ্গের কারণগুলো একসঙ্গে তুলে ধরা হলো-
সাধারণত রোজা ভঙ্গের কারণগুলো দুই ভাগে বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে- শরীর থেকে কোনো কিছু নির্গত হওয়া ও শরীরের মধ্যে কোনো কিছু প্রবেশ করানো।
শরীর থেকে কোনো কিছু নির্গত হয়ে রোজা ভেঙে যেতে পারে। যেমন-
- মুখ ভরে বমি করা
- নারীদের হায়েয ও নিফাস হলে
- শরীরের কোথাও আঘাত লেগে রক্ত চুইয়ে পড়লে
- সহবাস বা হস্তমৈথুন করলে
রমজান মাস কঠোর সাধনার ও নিষেধাজ্ঞার মাস তাই রোজা রেখে উপরোক্ত কারণগুলোর কোনো একটি মনের ভুলেও করে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে।
এছাড়া, রক্তপাত হলে বা বমি করার কারণে রোজাদার দুর্বল হয়ে পড়বেন এবং তার শারীরিক ক্ষতিও হতে পারে তাই রক্তপাত ও বমি করলে তাকে রোজা ভঙ্গের কারণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোজা ভঙ্গের কিছু কারণ শরীরে কোনো কিছু প্রবেশ করানোর সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন-
- খাওয়া-দাওয়া বা পানাহার করা। অর্থাৎ মুখ বা নাক দিয়ে কোনো কিছু প্রবেশ করানো যা পাকস্থলীতে পৌঁছে।
- শরীরে রক্ত নেওয়া বা শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য স্যালাইন নেওয়া।
- ধূমপান করা।
তবে, প্রয়োজনের কারণে যেগুলো খাবার বা পানাহারের বিকল্প নয়; বরং চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়, যেমন- পেনিসিলিন, ইনজেকশন, ইনসুলিন অথবা টিকা নিলে রোজা ভাঙবে না। এছাড়াও, রান্না করার সময় খাবারে লবণ বা স্বাদ ঠিক আছে কি-না পরীক্ষা করার সময় নারীরা চাইলে জিহ্বার অগ্রভাগে খাবারের স্বাদ নিয়ে কুলি করে ফেলতে পারবেন। তবে, পাকস্থলীতে পৌঁছে গেলে রোজা ভেঙে যাবে।