প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে ইজতেমা মাঠে আসছেন মুসল্লিরা। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে বুধবার বিকেল থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমা আসা শুরু করেছেন। বাস, ট্রাক, পিক-আপ করে মুসল্লিরা আসছেন। ময়দানে ধীরে ধীরে বাড়ছে মুসল্লিদের সংখ্যা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বাদ ফজর ভারতের মাওলানা চেরাব উদ্দিন বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্রাথমিক আম বয়ান করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আজিমুউদ্দিন।
প্রথব পর্বে ইজতেমা শেষ হওয়ার পর চারদিন বিরতি দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সমাবেশের দ্বিতীয় পর্বের মূল কার্যক্রম শুরু হবে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজরের মূল বয়ানের মধ্য দিয়ে। আর রোববার আখেরি মোনাজের আগ পর্যন্ত চলবে তাবলীগের ৬ উসুলের এ বয়ান। বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেমগণ মূল বয়ান করবেন। মূল বয়ান বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীদের জন্য তাৎক্ষণিক তরজমা করা হয়। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতী বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য ওয়াসিফ জানান, টঙ্গীতে বৃহস্পতিবার বাদ ফজর বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের দের জন্য প্রাথমিক আ’ম বয়ান শুরু হয়েছে। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হবে শুক্রবার বাদ ফজরের মূল বয়ানের মধ্য দিয়ে । আর রোববার আখেরি মোনাজের আগ পর্যন্ত চলবে তাবলীগের ৬ উসুলের এ বয়ান। বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেমগণ মূল বয়ান করবেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়তী বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ জানান, বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই দলে দলে তাবলীগ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লীর দল মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। লাখ লাখ মুসল্লীর উপস্থিতিতে ইজতেমা ময়দান প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। বাস, ট্রাক, ট্রেন পায়ে হেঁটে টুপি,পাঞ্জাবী পরিহিত মুসল্লিরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসছেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসলিদের এ আগমন অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার (২০জানুয়ারি) দেশের বৃহত্তম জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহত্তম জু’মার এ নামাজে অংশ নিতে প্রতি ইজতেমায় তাবলীগের মুসুল্লী ছাড়াও গাজীপুর ও আশেপাশের জেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ইজতমা ময়দানে অবস্থান নিতে থাকেন। শুক্রবার জু’মার নামাজ শুরুর আগ পর্যন্ত এ নামাজে অংশ নিতে আসতে থাকেন। ১৬০ একরের পুরো ইজতেমা ময়দান ছাঁপিয়ে কামারপাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশেপাশের অলিগলিতেও কাতারবদ্ধ হয় জুমার নামাজে অংশ নেবেন মুসল্লিরা।
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের জিম্মাদার মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেব (নিজামুদ্দিন) জানান, ফজরের পর বয়ানের মিম্বারে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা চেরাব উদ্দিন, তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আজিমুদ্দিন।
তিনি আরও জানান, সকাল দশটা থেকে আরব দেশ থেকে আসা মেহমানদের সামনে কথা বলবেন পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান, সকাল ১০টায় নিজামুদ্দিন থেকে বাংলাদেশ সময় দিতে আসা প্রায় ১০০ জামাতের মেহনতের কারগুজারী শুনবেন মুফতি রিয়াসাত সাহেব ও ভাই হারুন, সকাল দশটায় ইংলিশ মেহমানদের সামনে বয়ান করবে মাওলানা এনাম ও খসরু মিয়া। সকাল ১০টায় মালয়েশিয়া থেকে আসা মেহমানদের সামনে কথা বলবেন মাওলানা ফারুক ও মাওলানা ওমর মেওয়াতি।
সকাল ১০টায় ফারসি ওয়ালাদের সামনে কথা বলবেন মুফতি গোলাম নবী ও মুফতি জহির নিজামুদ্দিন। থাই মেহমানদের সামনে সকাল দশটায় কথা বলবেন মাস্টার হারুন ও সাঈদী নিজামুদ্দিন। চায়না থেকে আসা মেহমানদের সামনে সকাল দশটায় কথা বলবেন মাওলানা জামশেদ ও বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল্লাহ ও পশ্চিমবঙ্গের মেহমানদের সাথে সকাল দশটায় কথা বলবেন কাকরাইলের মাওলানা মোশারফ। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের ইজতেমার মূল মাশোয়ারা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানান, গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটের একাধিক টিম বিভিন্ন অনিয়মের বিচারে থাকবে পুরো টঙ্গী জুড়ে। ইজতেমা ময়দান ও আশেপাশের এলাকালায় বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং ছিনতাই পকেটমারসহ নানা অপরাধ কার্যকলাপ রুখতে টহল টিম ও ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট কাজ করবে, থাকবে পর্যাপ্ত ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ। প্রতিদিন কয়েকভাগে ভাগ হয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে।