• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাবাকে কাঁধে নিয়ে তাওয়াফ করলেন ছেলে, ভাসছেন প্রশংসায়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম

বাবাকে কাঁধে নিয়ে তাওয়াফ করলেন ছেলে, ভাসছেন প্রশংসায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আমাদের রবের সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো মা-বাবার সন্তুষ্টি অর্জন করা। আল্লাহ তায়ালা মা-বাবাকে সম্মান ও তাদের প্রতি সদয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনের নির্দেশ মেনে জন্মদাতা বাবাকে সম্মান প্রদর্শনের অনন্য এক দৃশ্য দেখা গেল এবার সৌদি আরবের মক্কার কাবা প্রাঙ্গণে। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর বিভিন্ন খবর প্রকাশ করা সাইট হারামাইন শরিফাইনের পেইজে আপলোড করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, এক ছেলে তার বাবাকে কাঁধে নিয়ে তাওয়াফ করছেন। প্রকাশিত দৃশ্যে কাবার সামনে বাবাকে কাঁধে নিয়ে তাওয়াফ করা ছেলেকে আবেগে কান্না করতে দেখা গেছে।

গত রবিবার ১৫ জানুয়ারি হারামাইন শরিফাইনের পেইজে প্রকাশিত এই ছবিটি কবের বা কোন দেশ থেকে আসা ওমরা বা হজ পালনকারী বাবা-ছেলের এই বিষয়ে কিছু লেখা হয়নি হারামাইনের পেইজে। তবে তিন দিন পর আজ বুধবার ১৮ জানুয়ারি আল জাজিরা মুবাশিরের পেইজ থেকে ছবিটি প্রকাশ করে ক্যাপশনে কোরআনের সুরা আহকাফের ১৫ নম্বর আয়াত তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বর্ণিত হয়েছে- ‘আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে। তার গর্ভধারণ ও দুধপান ছাড়ানোর সময় লাগে ত্রিশ মাস।

অবশেষে যখন সে তার শক্তির পূর্ণতায় পৌঁছে এবং চল্লিশ বছরে উপনীত হয়, তখন সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে সামর্থ্য দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নেয়ামত দান করেছ, তোমার সে নেয়ামতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’। (সুরা আহকাফ, আয়াত, ১৫)

এই আয়াতের পাশাপাশি আল-জাজিরা মুবাশিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওমরা পালনের সময় এক ব্যক্তির বাবাকে নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার হৃদয়স্পর্শী ছবি। ছবিটি সৌদি ফটোগ্রাফার বদর বিন মোহাম্মদের বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ছবিটি ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ হজ ও ওমরা পালন সহজের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে, শারীরিকভাবে দুর্বল ইবাদত পালনকারীদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা রেখেছে। তাই অনেকে কষ্ট না করে এসব ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে একজন মন্তব্য করেছেন, এটি একটি সুন্দর দৃশ্য। তবে হারাম এলাকায় বিনামূল্যে হুইল চেয়ার ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে, বয়স্কদের আরামের জন্য এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি বাবাকে ছেলের জন্য পিঠে বহন করা উভয়ের জন্য, বিশেষত বাবার জন্য কষ্টের এবং ক্লান্তিকর’। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, সন্তানের জন্য সবসময় মা-বাবাকে সম্মান করা ও তাদের প্রতি সদাচারণ করা উচিত। সূত্র : হারামাইন শরিফাইন, আল-জাজিরা মুবাশির

আর্কাইভ