প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০১:৪৩ এএম
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব উপলক্ষে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মানিত অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্ব ইজতেমায় সমবেত হন। ধর্মীয় জমায়েত নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত স্থানগুলো নির্ধারণ করেছে।
গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত তথ্যাদি
১। খিলক্ষেত থেকে আদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
২। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করতে হবে।
ক) ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : ১৬ নং সেক্টর এলাকাধীন বিজিএমইএ ভবন, ১০ নং, ১১ নং ৫ নং ব্রিজের ঢালে।
খ) সিলেট বিভাগ পার্কিং : উত্তরা ১৫ নং সেক্টর ২ নং ব্রিজের ঢাল থেকে উলোদাহা মাঠ পর্যন্ত।
গ) খুলনা বিভাগ পার্কিং : উত্তরা ১৭ এবং ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (বউবাজার মাঠ) ।
ঘ) রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : প্রত্যাশা হাউজিং।
ঙ) বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
চ) ঢাকা মহানগরী পার্কিং : ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় খালি জায়গা।
৩। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।
ডাইভারশন সংক্রান্ত তথ্যাদি
শুধুমাত্র আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ আগামী ২২ জানুয়ারি (রোববার) ভোর ৪টা থেকে ধউর ব্রিজ, ১৮ নং সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নং সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, প্রগতি সরণি (বিশ্বরোড), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব, মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং ও আশুলিয়া বাজার ক্রসিং এলাকায় ডাইভারশন থাকবে।
৫। ডাইভারশন চলাকালীন
১। আখেরি মোনাজাতের পূর্ব রাত অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ২টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।
২। আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
৩। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে।
৪। কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানগুলো হোটেল র্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
৫। আখেরি মোনাজাত অর্থাৎ আগামী ২২ জানুয়ারি ভোর ৪টা থেকে প্রগতি সরণি ক্রসিং-আব্দুল্লাহপুর-ধউর ব্রিজ-আশুলিয়া ক্রসিং-মিরপুর মাজার রোড থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক, চিড়িয়াখানা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক এবং পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক পর্যন্ত সড়ককে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
৬। কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
৭। প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
৮। আগামী ২২ জানুয়ারি উত্তরার বাসিন্দা, বিমান যাত্রী ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৯। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১টি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, ২টি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং ১টি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহন সার্ভিসের জন্য ভোর ৪টা থেকে মোতায়েন থাকবে।