প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২, ০৯:৪৬ এএম
আজ রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এদিনে সূর্যোদ্বয়ের ঠিক পূর্বমুহূর্তে, সুবহে সাদিকের সময় মহাকালের এক মহাক্রান্তিলগ্নে আল্লাহর রাসূল ও আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। আবার তেষট্টি বছরের এক মহান আদর্শিক জীবন অতিবাহিত করে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ১১ হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ একই দিনে তিনি ইহজগতের মায়া ত্যাগ করেন। দিনটি মুসলিম সমাজে `ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)` নামে সমধিক পরিচিত এবং সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই দিনকে কেন্দ্র করে এখন মুসলিম সমাজে মিলাদ ও সিরাত মাহফিল আয়োজনের ধুম পড়ে যায়। আবার অনেকে মাতম করে।
কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) যে আদর্শের সুষমা দিয়ে একটি বর্বর জাতিকে আদর্শ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো ফুটতে থাকা একটি সমাজকে শান্তির সুশীতল ছায়াতলে এনে দিয়েছিলেন, সেই মহান আদর্শে উত্তরণের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। মহানবীর আদর্শ অনুসরন না করে শুধু মিলাদ মাহফিল আর সিরাত মাহফিল আয়োজন কিংবা মাতম করে কোনো লাভ নেই।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আমাদের স্পষ্টত কোনো ধরণের বাড়াবাড়ি বা বিদায়াত কাজ করা যাবে না। আমাদের করণীয় হবে নবীর আদর্শে আদর্শবান হওয়া। কারণ মহান আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শকে জীবনে ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে রাসুল! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবেসে থাক তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। (সুরা আল-মায়িদা : ৩১)
মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন এই রবিউল আউয়াল মাসে আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে সুন্নতের সাথে সাজানোর হেদায়েত দান করুক। আসুন আমরা আমাদের জীবনকে একেবারে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সুন্নতের সহিত পরিপূর্ণ করে সাজাই। আল্লাহ সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।।
লেখক : মাওলানা মোঃ মোরশেদুল আলম মর্তুজা, খতিব থানা মসজিদ, ধামুরহাট নওগাঁ
এসএএস