প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম
ব্রেক্সিটের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকত্ব হারানো যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা বাসস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়া আর কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোনে। ব্রিটিশ নাগরিকরা ইইউ ব্লকে ভোটাধিকার ও অবাধ চলাচলের অধিকার পাবেন না বলে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ইইউ আদালত।
২০২০ সালে চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নাগরিকত্বের অধিকার হারানোর বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেন যুক্তরাজ্যের অনেক ক্ষুব্ধ নাগরিক। তারা ইইউ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ভোটাধিকার ও অবাধ যাতায়াত এবং কিছু মৌলিক অধিকার দেয়ার পর তা ফিরিয়ে নেয়া যায় না, এমন দাবি করেন মামলার বাদীরা।
প্রথম থেকে নিম্ন আদালতে এসব মামলা কয়েকবার খারিজ হওয়ার পর, ব্রিটিশ নাগরিকরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) চূড়ান্ত রায়ে ইইউ আদালতের বিচারক তা খারিজ করে দেন এবং বলেন যে, যুক্তরাজ্যের ব্লক ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে ব্রিটিশ নাগরিকরা ইইউ’র নাগরিকত্ব ধরে রাখতে পারবেন না।
ইইউ’র দেশগুলোতে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ ৬০ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক বসবাস করছেন। আদালতের এমন রায় ব্রিটিশ নাগরিকদের জীবনকে ইইউ’র মধ্যে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ইউরোপের বাংলাদেশ কমিউনিটিতেও।
অন্যদিকে একই দিন ইইউ নাগরিকদের অধিকার সম্বলিত মামলা লন্ডনের নিম্ন আদালত থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছে। ইইউ নাগরিকদের প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার মামলা এখনো ব্রিটিশ আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়, যেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইইউ নাগরিক রয়েছেন। যদি ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্ত পক্ষে না আসে; স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তরাজ্যে কাজ, শিক্ষা ও আবাসনের অধিকার হারাবেন ইইউ নাগরিকরা।
এদিকে বিষাদময় ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইইউ আদালতের চূড়ান্ত রায় ব্রিটিশদের হতাশ করেছে। আর এমন কঠোর পদক্ষেপ যদি ব্রিটিশ আদালতও নেন, তাহলে প্রি-সেটেলমেন্টে আটকে থাকা লাখ লাখ ইইউ নাগরিকের পরিবারগুলো যুক্তরাজ্যে সমস্যায় পড়বেন।
এডিএস/