• ঢাকা শনিবার
    ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় ৩৬৭ বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার, আটক ৩

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৩, ০৬:০০ পিএম

মালয়েশিয়ায় ৩৬৭ বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ বিদেশিদের বৈধতা দিতে ‘রিক্যালিব্রেশন-২.০ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে দেশটির সরকার। আর এই প্রকল্পের আওতায় বৈধতা দেয়ার নামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে থেকে লাখ লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে ৪৮ বছরের এক নারীসহ ৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। সাধারণ প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিল চক্রটির সদস্যরা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কেডিএন) কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন।

এ সময় শ্যামসুল বদরিন বলেন, কুয়ালালামপুর অভিবাসন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের অপারেশন ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১১টার দিকে কুয়ালালামপুরের তামান মেলাতি উতামারে একটি আবাসিক ভবনে এবং তামান শ্রী রামপাইয়ের একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

অভিযানে ওই নারীর বাসভবন থেকে ৩১৪টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও প্রিন্টার, নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন বোর্ডের (সিআইডিবি) ১৭টি কার্ড, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি স্মার্টফোন, সাতটি ব্যাংক কার্ড এবং নগদ ৬১ হাজার ৫৫০ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়। ওই নারীই সিন্ডিকেটের মূল হোতা।

 
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তামান শ্রী রামপাইয়ের একটি অফিসে ২য় অভিযানে ৫৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, কম্পিউটার ও প্রিন্টিং মেশিন, ১৯৮টি সিআইডিবি কার্ড, ছয়টি বিদেশি কর্মী কার্ড (আই-ক্যাড), সাতটি পেমেন্ট রেকর্ড বই, আটটি কোম্পানির ফাইল, তিনটি কোম্পানির লাইসেন্স, একটি ইউনিট সিসিটিভি ডিকোডার ও একটি স্মার্টফোন ইউনিট জব্দ করে।

৪৮ বছর বয়সী ওই নারী গত এক বছর ধরে তার কর্মকাণ্ডের ফলে নিজেকে একজন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের এজেন্ট বলে দাবি করে আসছিল। যদিও অভিবাসন বিভাগ এর কোনো প্রমাণ পায়নি।

এই চক্রটি নির্মাণ সংস্থাগুলির সাথে জড়িত অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধতা দেয়ার নামে জনপ্রতি ৮ হাজার ৩০০ রিঙ্গিত এবং ২ হাজার রিঙ্গিতের বিনিময়ে ‘রিক্যালিব্রেশন-২.০’ এর আওতায় রেজিস্ট্রেশন করে দেয়ার অফার দিয়ে আসছিল বলেও জানানো হয়।

প্রাথমিক তদন্তে তিনি আরও জানায়, ওই নারীকে ক্লায়েন্ট পেতে বাংলাদেশি কিছু দালাল সহায়তা দিয়ে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরও তদন্তের জন্য পাসপোর্ট আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে তিন বাংলাদেশি পুরুষকে আটক করা হয়। বর্তমানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ইমিগ্ৰেশন আইনের বিভিন্ন ধারায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


এডিএস/

আর্কাইভ