• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখতে ডলারের ন্যায্য দাম নির্ধারণ জরুরি

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ০৯:২৬ পিএম

রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখতে ডলারের ন্যায্য দাম নির্ধারণ জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঈদের পর হঠাৎ করেই কমে গেছে কুয়েত থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ। এর পেছনে ডলার মূল্যের বৈষম্য ও হুন্ডির দৌরাত্ম্যকে দায়ী করছে কুয়েতের মানি এক্সচেঞ্জগুলো। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখতে প্রবাসীদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ ডলারের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে, তার মধ্যে অন্যতম দেশটি। বৈধ পথে টাকা পাঠাতে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই বেছে নেন বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ। তবে ঈদের পর হঠাৎ করেই কুয়েত থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ব্যাপারে কুয়েতের এক্সচেঞ্জ কোম্পানি কর্মকর্তা সংস্থার সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ  সম্প্রতি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব। তবে প্রবাসীরা সামান্যতম লাভের আশায় অবৈধ হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে। এটা হচ্ছে শুধু ডলার রেট বৈষম্যের কারণে।

মানি এক্সচেঞ্জগুলো জানায়, চলতি বছরের মার্চে এক দিনারের পরিবর্তে ৩৭০ টাকা পাঠাতে পারতেন প্রবাসীরা। তবে এখন মিলছে ৩৫০ টাকা। বাংলাদেশ থেকে অন্যদেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ১ ডলারের বিপরীতে ১১৪ টাকা দেয়া হলেও রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে ১০৭ টাকা দরে।
 


বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ আসে রেমিট্যান্স থেকে। রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ ধরে রাখতে প্রবাসীদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ ডলারের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আর প্রবাসীদের অভিযোগ, দিনারের মূল্য বেশি পেতে ক্রমেই হুন্ডির দিকে ঝুঁকছেন তারা। ফলে বৈধ চ্যানেলে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো অর্থের সমপরিমাণ মূল্য বৈধ চ্যানেলে পেলে অবৈধভাবে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কমে যাবে বলে মত প্রবাসীদের।


এডিএস/

আর্কাইভ