প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিভাজনের রেখা তৈরি করছে দিল্লি। ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলছে অপপ্রচার।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের দেশের দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, সাম্প্রদায়িক বিষয়ে নিজেরা সচেতন হোন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পশ্চাৎপদ চিন্তাধারার লোকজন ভারত শাসন করছে। ভারতের শাসকগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতাকে আসকারা দিচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়েও সেখানকার মিডিয়ায় কুৎসা রটাচ্ছে। তাদের শিখণ্ডী শেখ হাসিনার পতন হওয়ায় তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
রিজভী বলেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। জনগণ কী চায় তা গুরুত্ব না দিয়ে আগ্রাসনের পথে হাঁটতে চায় ভারত। বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব রক্ষায় জনগণ রুখে দাঁড়াবে।
‘বাংলাদেশ কখনোই দিল্লির দাসত্ব মেনে নেয়নি। তাদের দাসত্ব করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি’, যোগ বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা।
ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নয়, ভারতে শান্তিরক্ষী মোতায়েন দরকার। বাংলাদেশের হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ভারত ব্যর্থ হয়েছে।’
ভারতের দিকে না তাকিয়ে সংখ্যালঘু কেউ নিরাপত্তাহীনতায় থাকলে সরকারকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হলেও তা নিয়ে নিরব থেকে মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে উল্টো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে৷
‘আসাম, কাশ্মীর, মনিপুর ও পাঞ্জাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। সেখানে মুসলিমরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সেখানে শান্তিরক্ষী নিযোগ করে আগে নিজেদের সামলানোর আহ্বান ভারতের প্রতি’, যোগ করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশে কোনো বিভাজন নেই, বিভাজনের রেখা তৈরি করছে দিল্লি। বাংলাদেশের মানুষ কখনও বিভাজনের চেষ্টা মানেনি। ভারতের সুদূরপ্রসারী আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা সফল হবে না।’