প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৪, ১২:১৬ এএম
আওয়ামী লীগের ডাকে সাড়া দেননি দলীয় নেতাকর্মীরা। ঘর থেকে বের হননি সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীরাও। কথা ছিল বেলা ৩টার মধ্যে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে (নূর হোসেন চত্বর) নেতাকর্মীরা জড়ো হবেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথমবারের মতো এই কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। তবে সেখানে ছিল না কোনো মঞ্চ। দলীয় নির্দেশের পরও চোখে পড়েনি কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীও।
গত কয়েকদিন থেকে শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার`র দাবি জানিয়ে রোববার দলীয় নেতাকর্মীদের ঢাকার জিরো পয়েন্টে জমায়েত হওয়ার নির্দেশ দেয় আওয়ামী লীগ। দলটির মুখপত্র হিসাবে ব্যবহূত ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে জিরো পয়েন্টে উপস্থিত হতেও দেখা যায়নি। দিনভর সেখানে আওয়ামী লীগের একটি প্ল্যাকার্ডও চোখে পড়েনি। কোথাও শোনা যায়নি তাদের দলীয় স্লোগান। তবে সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন মিলে। কয়েক মিনিট মিছিল করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তারা।
এছাড়া দুপুরে জিরো পয়েন্টের পাশে পল্টনের দিকে ফাঁকা রাস্তায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। পাশাপাশি গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ডে ব্যানার নিয়ে আরেকটি মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তবে এসব মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্ট কিংবা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সাহস করেননি।
গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা যায়, আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহত করতে শনিবার রাত থেকেই জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। সারা রাত পাহারা বসিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
রোববার সকাল থেকে জিরো পয়েন্ট ও এর আশপাশে আরও শক্ত অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অপরদিকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থান নেয় বিএনপি, যুবদলসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।