প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
নেতিবাচক কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কিছু কিছু মিডিয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রমোট করছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনুরোধ করব, যারা এই ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা দয়া করে এটা বন্ধ করুন। এটা কখনোই জনগণের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
তরুণদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা এত বড় একটা অসাধ্য সাধন করেছেন; ফ্যাসিবাদ যেন মাথাচাড়া না দেয় তার জন্য আপনারা কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে যে সংকট আছে, সেই সংকট উত্তরণে ধৈর্য ধরে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে সময় দিতে হবে। তাদের আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছেন।
অনেকে বলেন যে মিডিয়ায় তারা সরকারের কোনো সাফল্য দেখতে পান না। আমি অবাক হই। এই তিন মাস সময়ের মধ্যে সরকার অনেক কাজ করেছে। অস্বীকার করার তো উপায় নেই।
সংস্কার করার জন্য তারা কমিশন গঠন করেছে, আইন পরিবর্তন করেছে, আইনগুলো নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছু ফ্যাসিবাদের দোসরকে আটক করেছে। বিচারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই বিষয়গুলো কিছু করছে। সব কিছু একসঙ্গে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষ করে তরুণদের বলব, অনুরোধ করব যে, আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেই সুযোগ যাতে কোনো মতেই হাতছাড়া না করি। এবার এই সুযোগ হারিয়ে গেলে আমাদের জাতি হিসেবে অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমি এই কথাটা জোর দিয়ে বলতে চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে সেই জঞ্জালগুলোকে সরিয়ে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যাতে করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুবকদের চাওয়া, তরুণদের চাওয়া যে নতুন বাংলাদেশ সেটা তৈরি করতে পারি। আমরা নির্বাচনের কথা বারবার বলছি, অনেকে প্রশ্ন করেছেন আপনি এত নির্বাচনের কথা বলেন কেন? কারণ আমি মৌলিকভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার কখনোই সফল হতে পারে না। জনগণের অ্যাকটিভ পার্টিসিপেশন সম্ভব একটা নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে।’
ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মুনিরের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের জেনায়েদ সাকি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটি মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদ, জহিরুল আলম, ইয়ুথ ফোরামের মেহেরুন্নেসা হক, সোহান হাফিজ, তানজিনা নওসিন, মনিরুজ্জামান মুনির, মেহেদি হাসান মিঠু, শফিউল কবির, জেরিন আনজুম মৌ, আয়ান আহমেদ বক্তব্য দেন।