• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
বললেন নুরুল হক নুর

দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামীতে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে গণঅধিকার পরিষদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামীতে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামীতে ৩০০ আসনে গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদ কারো ওপর ভর করে ২-৪টা আসনের রাজনীতি করে না। গণঅধিকার পরিষদ দলীয় মার্কা নিয়ে আগামীতে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। কোনো কোনো দলের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে, দলীয় কাজে বাধা দিচ্ছে। তাদের বলব- শেখ হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নিন।ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে, আপনারা এসব করতে থাকলে, আপনারাও নিষিদ্ধ হবেন।’

শনিবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে দলটি।দুপুরে ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা ও পায়রা উড়িয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

একইসঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকারপ্রধান নয়- এমন দাবি জানিয়ে নুর বলেন, দলীয় প্রধান একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকারপ্রধান পুরো রাষ্ট্রের। সেজন্য আমরা বলেছি, একইসঙ্গে কেউ দলীয় প্রধান ও সরকারপ্রধান হতে পারবে না। 

তিনি বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি- যেন সংসদে একক কোনো দলের আধিপত্য না থাকে। কারণ, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব ভালো না। যেই একবার ক্ষমতা যায়, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রশাসনসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০২১ সালে দল ঘোষণার সময়ই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র, কার্যকর সংসদ, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেছিলাম।গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে সে ধরনের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, মানুষ আর প্রথাগত রাজনীতির পথে হাঁটতে চায় না। তাই আমাদেরও বদলাতে হবে।’

নুর বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে ভারত ১৫ বছর সমর্থন করেছে। শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং গণহত্যাকারীদের সমর্থন করায় ভারতের দুঃখপ্রকাশ করা উচিত।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ বিগত সময়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে রাজপথে ছিল, নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এই আন্দোলনে আমাদের জেলে যেতে হয়েছে উপদেষ্টাদের নয়। সরকার ব্যর্থ হলে দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। তাই আমরা চাই না সরকার ব্যর্থ হোক। কিন্তু এ ধরনের সরকারের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই রাষ্ট্র সংস্কার ও সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের সরকার দরকার।’

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ