প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
দেশে গুম-খুনের মূলহোতাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে জিয়াউল আহসান, বেনজীর আহমেদ এবং তারিক সিদ্দিকী গুম-খুন করেছেন। এরাসহ গুম-খুনের মূলহোতাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশ থেকে চিরদিনের জন্য গুম-খুনের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। এটি জাতির দাবি, ৫ আগস্টের বিপ্লবের দাবি, শহিদের রক্তের দাবি।
গুম কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি গুম কমিশনে উপস্থিত হয়েছিলাম, যাতে করে আমার গুমের বিষয়টা অফিসিয়ালভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারি। আমার গুমের বিষয়ে আদ্যোপান্ত সবাই জানেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখ রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে আমাকে উত্তরার একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে নেওয়ার পর ৬১ দিন গুম ছিলাম। এরপর আমাকে অন্য একটি দেশে পাচার করে। এ বিষয়ে গুম কমিশনে বিস্তারিত বলেছি।’
তিনি বলেন, গুম কমিশন এ বিষয়গুলো তদন্ত করে তুলে ধরবে। এ বিষয়ে তাদের কতটুকু এখতিয়ার আছে, আমার জানা নেই। আমি তাদের জানিয়েছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, যারা পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে আছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কীভাবে আনবে সেটি আইনে আছে।
অভিযোগ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান জেলখানায় খুব আরামে আছেন। তাকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। তার কাছ থেকে একটি শব্দ বের হয় না। তাহলে কি দেশে গুম-খুন হয়নি? সবচাইতে গুম-খুনের অভিযোগ তো জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আছে।সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ আরো যারা গুম-খুনের হোতা ও নায়ক রয়েছে, তারা নির্দেশ পেয়েছিল শেখ হাসিনা ও তার সচিব তারেক সিদ্দিকীসহ যাদের কাছ থেকে, সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে।