প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
‘ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে। লগি-বৈঠার তাণ্ডবে মানুষ হত্যার উল্লাসে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল সেই বাংলাদেশ ৫ আগস্টে আবার পথে ফিরেছে। আমরা এমন সমাজ গঠন করতে চাই, যেখানে মসজিদের মতো মন্দিরেও পাহারার প্রয়োজন হবে না।’
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার কুশিয়ারা কনভেনশন হলে আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এমন মন্তব্য করেছেন।
জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর আয়োজিত সুধী সমাবেশটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয়ে চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা উত্তরের আমির হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান, জেলা দক্ষিণের আমির অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব কোনো দলের নয়, এটি শুধুই ছাত্র-জনতার। ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে।
যদিও এর পেছনে আমাদের অনেক শহীদের ত্যাগ রয়েছে। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল ৫ আগস্ট হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্যে দিয়ে সে আন্দোলন শেষ হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একে স্থায়ী রূপ দিতে প্রয়োজন সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন। যেখানে দল-মতের ঊর্ধ্বে সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে।
আমরা কাজের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রকৃত ভালোবাসা অর্জন করতে চাই।’
সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু ভেদাভেদ চান না জানিয়ে আমীরে জামায়াত বলেন, ‘সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু ভেদাভেদ চাই না। এমন সমাজ গঠন করতে চাই, যেখানে মসজিদের মতো মন্দিরেও পাহারার প্রয়োজন হবে না। কেউ আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের রুখে দিতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হলে প্রথমে নিজেকে বদলাতে হবে।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা দেখেছি নিজের বড় কোনো সন্তান না থাকায় একজন মা দেড় বছরের কোলের শিশুকে নিয়ে রাজপথে নেমেছেন। ৭০ বছরের বৃদ্ধও শাহাদাতের তামান্না নিয়ে রাজপথে ছিলেন। যে জাতির দেড় বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধরা রাজপথে নামতে পারেন সেই জাতিকে আর দমিয়ে রাখা যাবেনা।’