প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউনূসের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ড. মুহম্মদ ইউনূস কীভাবে দেশ পরিচালনা করেন দেখার অপেক্ষায় আছি। জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
জয় বলেন, শেখ হাসিনা ভারত থেকে অন্য কোথাও যাবেন এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি ভালো আছেন, এখন দিল্লিতে আছেন। আমার বোন ওনার কাছে আছেন। আমার বোনতো দিল্লিতে থাকেন। তিনি ভালো আছেন, তবে তার খুবই মন খারাপ।
জয় আরও বলেন, তিনি খুবই দুঃখিত। যে দেশের জন্য ওনার বাবাসহ পুরো পরিবার জীবন দিয়েছেন, যেই দেশের জন্য তিনি জেল খেটেছেন, এত পরিশ্রম করেছেন, এত উন্নয়ন করেছেন, সেই দেশের মানুষ তাকে এভাবে অপমান করে বের করে দেবে, তার উপর আক্রমণ করতে যাবে, এটা আমরা কেউ কল্পনা করতে পারিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছে- এ বিষয়ে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মতামত নাই। আমাদের সুশীল সমাজ অনেকদিন ধরে চাচ্ছেন তিনি দেশ চালানোর একটা সুযোগ পাক। তিনি এখন সেই সুযোগটা পাবেন। তিনি কীভাবে দেশ চালাবেন তা আমি দেখতে চাই। আমি দেখার অপেক্ষায় আছি, কারণ একটা দেশ পরিচালনা করা তত সহজ ব্যাপার না।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউই বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়াবেন না।
জয় আরও বলেন, তিনবারের মতো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্যু হলো। তিনবারের মতো সবকিছু হারিয়ে বিদেশে থাকতে হলো। আমি আর আমার মা বাদে আমরা সবাই বিদেশে অনেকদিন ধরে আছি। আমাদের এখানে জীবনের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা এখানে থাকতে অভ্যস্ত।
বাংলাদেশে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একদিন আগে নেওয়া হলেও তা তখন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিন আগে। আমরা কয়েকজন শুধুমাত্র জানতাম যে তিনি ঘোষণা দেবেন, তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে একটি ট্রানজিশন অব পাওয়ার হয় সেটাই ছিল ওনার প্ল্যান। তবে যখন তারা ঐ গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করল। তখন আমরা ভয়ে বললাম যে, আর সময় নেই। তোমার এখনই বেরিয়ে যেতে হবে।