প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাঙালি জাতির জীবনে দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন, তা হলো- বাঙালির স্বাধীনতা ও উন্নয়ন। এই দুটি অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে৷
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন। এ দুটি অর্জন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরে এসে একাকার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন ভোট ও ভাতের অধিকার। এটাই হলো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বাধীনতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হবে। কেন্দ্রে তৃণমূল পর্যান্ত আমরা প্রস্তত। সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা আনন্দঘন পরিবেশে শোভাযাত্রা করেছি। ঈদের মধ্যেও এতো মানুষের অংশ গ্রহণ করেছে। অনেক পত্র-পত্রিকা লিখেছেন ৫ কিলোমিটার জুড়ে শোভাযাত্রা হয়েছে।
৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপপ্রাপ্তি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে আমরা দেখছি না। অপ্রাপ্তি ও প্রাপ্তির খাতা হিসাব করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে অপ্রাপ্তির বিষয়টা বাংলাদেশে রাজনৈতিক। আজকে আমরা বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি। সুসংহত করার পথে প্রধান বাধা সাম্প্রদায়িকতা। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদ অশক্তিকে পরাজিত করে আমাদের বিজয়কে সুসংহত করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বার্তা নির্বাচনি ইশতেহার। আমরা যে নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছি তা বাস্তবায়ন এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সাথে আমরা ছিলাম আছি ভবিষ্যতেও থাকব।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। ওয়ান ইলেভেনে আমরা দেখেছি সুপরিকল্পিতভাবে রাজনীতিবিদদের নির্যাতন করা হয়েছে। অথচ এই দেশ স্বাধীন করেছে রাজনীতিবিদরা। এদেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদরা। সেই রাজনীতিবিদদের অপরাধী ও ব্যর্থ বানানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে একশ্রেণির লোক তৎপরতা চালাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, অপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু প্রমুখ।