• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

এই বাজেট বাংলাদেশের গুটি কয়েক অলিগার্কদের জন্য

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৪, ০২:০৮ পিএম

এই বাজেট বাংলাদেশের গুটি কয়েক অলিগার্কদের জন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন বর্তমান ‘অনির্বাচিত’ সরকারের বাজেট দেওয়ার কোনো ম্যান্ডেট নাই। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে শুক্রবার তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাজেট আর কী, যেখানে একটা অনির্বাচিত সরকার, যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই বাজেট দেওয়ার। কারণ তারা কোনো নির্বাচিত সরকার না, এই ব্যাপারে কারো মনে কোনো সন্দেহ নাই।  আর বাজেট দেয় কী দিয়ে? একটা দেশের রিসোর্সের উপর ভিত্তি করেই তো বাজেট দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বর্তমান রিসোর্স কী আছে? ব্যাংক খালি, বাংলাদেশের দেনা বাড়তে বাড়তে কোন জায়গায় গিয়েছে এখন, এখানে দেনা শোধ করতে প্রিন্সিপাল এবং বাজেটের বড় একটা অংশ চলে যাচ্ছে।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী খসরু বলেন, বাজেট তো বাংলাদেশের গুটি কয়েক অলিগার্কদের জন্য। এদের ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধার জন্য বাজেট। বাংলাদেশের মানুষের জন্য বাজেট হওয়ার কোনো সুযোগ নাই এখানে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের পকেট থেকে অলিগার্করা চুরি করবে এবং তারা শুধু বিজনেস পলিসি চালাচ্ছে না, তারা পুরো দেশ চালাচ্ছে৷

খসরু বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর খালি করে ফেলছে, বাংলাদেশের রিজার্ভের অবস্থা খারাপ, ফরেন কারেন্সির অবস্থা খারাপ। মানে যে রিসোর্সগুলোর ওপর ভিত্তি করে বাজেট হয়, বাংলাদেশে তো আজকে সেগুলো অনুপস্থিত। একদিকে একটা অনির্বাচিত সরকার, যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই বাজেট দেওয়ার, অন্যদিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় তহবিল খালি করে ফেলছে চুরি, দুর্নীতি এবং বিদেশে পাচারের মাধ্যমে। 
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তহবিল খালি, রিজার্ভ খালির পথে, তারপর ব্যাংকগুলো সব লুটপাট করে টাকা সব নিয়ে গিয়েছে, শেয়ারবাজার ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারা বিদ্যুৎ চুরি করবে সাধারণ মানুষের বিদ্যুতের বিল দিতে হবে। পানি গ্যাস সব জায়গায় তাদের পকেট ভরার জন্য সাধারণ মানুষের পকেট থেকে আসবে সেই টাকা। একদিকে তো কোনো রিসোর্স নাই সব খালি করে দিয়েছে, আগামীতে যতটুকু আসবে সেটাতো সাধারণ মানুষের থেকে দিতে হবে এবং তারা আবার লুটপাট করে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের উপকার না, এই যে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার পরে টাকা যতটুকু আসবে সেগুলোতো সাধারণ মানুষের পকেট থেকে জোর করে নেবে। আরও বিদ্যুতের দাম বাড়াবে, আরও গ্যাসের দাম বাড়াবে, আরো পানির দাম বাড়াবে, আরো ট্যাক্স দাঁড়াবে এবং জোর করে ট্যাক্স আদায় করবে। সুতরাং এই টাকাটা আবার যাবে তাদের (জনগণ) পকেট থেকে। যতটুকু করবে সেটা তো সাধারণ মানুষের থেকে আদায় করবে তারা (সরকার)।

অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে একটা নির্বাচিত সরকার হতে হবে। একটা মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সবার সমান সুযোগ থাকতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রাজনীতিতে থাকতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থনীতিতে থাকতে হবে। তাহলেই জাতির প্রত্যেকটা মানুষের তার নিজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে,  রাজনীতিতে অবদান রাখতে পারবে।

আর্কাইভ