• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডোনাল্ড লুর সফরে যে দুই বিষয়ে আলোচনা হবে

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম

ডোনাল্ড লুর সফরে যে দুই বিষয়ে আলোচনা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন ঢাকা সফরে র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশে সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করব। সেখানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে, আমাদের নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ার বা নতুন উচ্চতায় নেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করেছে। লুর সফরে র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে কিনা- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, সেগুলো (র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি) আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা রেখাপাত করেছে তো বটেই। সেগুলো নিয়ে অবশ্যই আমরা আলোচনা করব।

তিনি বলেন, সেগুলো (র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি) যেন সহজীকরণ হয় বা উঠে যায় তা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় এ প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবে আসতেই পারে। আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছি।

দুদিনের সফরে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু। ঢাকা সফরের সময় তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া লুর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।

আর্কাইভ