• ঢাকা বুধবার
    ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতার হুংকার, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৪, ০১:৩১ পিএম

চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতার হুংকার, ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভোলার লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভোলার লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনকে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিতে শোনা যায় এক ভিডিওতে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিদারুল ইসলাম অরুণ পঞ্চায়েত তার বক্তব্যে এ হুমকি দেন। এমন একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার (৪ মে) বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজারে সমাবেশে দেয়া এক বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিদারুল ইসলাম অরুণ পঞ্চায়েত এ হুমকি দেন।

একরকম হুংকার দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘টিটব কেন টিটবের বাবাও কেন্দ্রে থাকতে পারবে না। যদি দল করতে হয় সিদ্ধান্ত মানেন। এ নির্বাচন আকতারের নয়, এমপি শাওনের নির্বাচন। দলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠিন।’

অরুণ পঞ্চায়েত বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার, ন্যাড়া বেল তলায় একবার যায়। মুক্তিযোদ্ধা (অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী) বলে তার গায়ে হাত দিতে দেরি করবে, আপনাদের গায়ে হাত দিতে দেরি করবে না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যায়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘুঘু দেখছে ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি।’

এ বক্তব্যটি এখন বিভিন্ন জন তাদের ফেসবুকে শেয়ার করতে দেখা গেছে।

একই সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনও তার বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাসায় বসে তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার কথা বলেন। সেই বৈঠকে আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

একই অনুষ্ঠানে লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, বদরপুরে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মেলকার, পৌর যুবলীগ সভাপতি ফরহাদ হোসেন মেহেরসহ অনেক নেতাকে ভিডিওতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী  ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করতে বলেছেন, ‘আমরা প্রার্থী হয়েছি। কোনো হুমকি-ধামকিতে আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবে না। সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা অরুণ পঞ্চায়েত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যেসব অশালীন ভাষায় বক্তব্য ও হুমকি দিয়েছেন, তার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এ বক্তব্যের বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাবেন।’

অরুণ পঞ্চায়েতসহ লালমোহন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ভূমিকাকে বিএনপির কর্মকাণ্ড বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি যেমন সাধারণ মানুষকে ভোটে দিতে বাধা দেয়, তেমনি করে এরাও ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।’

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতারুজ্জাম টিটব বলেন, ‘এমন প্রকাশ্যে হুমকি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় না। সরকার একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করতে চায়। এরা সরকারের প্রতিপক্ষ হিসাবে কাজ করছে। এমন হুমকি-ধামকি অব্যাহত থাকলে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হবে।’

তবে দিদারুল ইসলাম পঞ্চায়েত এসবকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে ভিডিওর বক্তব্য বানানো বলে দাবি করেন। তিনি হুমকির বিষয়টিও অস্বীকার করেন।

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ