প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের জেরে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা৷
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ২টা থেকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
পরে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ৫ দফা দাবি জানান তারা।
২৮ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল বুয়েটে সভা করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীর সহযোগিতায় ছাত্রলীগ এ সভা করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল করা; এ ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার করা; এ দুটি দাবি মানা না হলে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পদত্যাগ করা; প্রবেশকৃত বহিরাগত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন এবং কীভাবে অনুমতি পেল সে বিষয়ে বুয়েট প্রশাসনের ব্যাখ্যা দেওয়া এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, বুয়েটের নীতিমালা অনুযায়ী এখানে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। এমন একটি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে ঘটে যাওয়া এত বড় একটি রাজনৈতিক সমাগম এবং বহিরাগতদের আগমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার প্রতি অপমানজনক।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিদফতর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়ার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। ঘটনার দেড় দিন পার হলেও ছাত্রলকল্যাণ পরিদপ্তর থেকে ঘটনার কোনো সদুত্তর ও জবাবদিহিতা শিক্ষার্থীদের কাছে আসনি।