প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে শেষের এক ঘণ্টায় কীভাবে ভোট ২৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের পক্ষে বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন খান। এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। কিন্তু সরকার সব মতামত অগ্রাহ্য করে ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে।
৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে। টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে তা হবে ফর দ্যা ডামি, বাই দ্যা ডামি, এমন ডামি সরকার চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ তারা ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে ‘অলিগার্ক’। সুতরাং জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি।
আরেকটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।
সাজেদ/