• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

বিএনপিকে পাকিস্তানে গিয়ে নির্বাচন করতে বললেন শেখ পরশ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম

বিএনপিকে পাকিস্তানে গিয়ে নির্বাচন করতে বললেন শেখ পরশ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ও দেশবিরোধী দল হিসেবে এদেশে বিএনপির রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই বিশ্বাস করে না, তাদের কী দরকার বাংলাদেশে নির্বাচন করা। তারা পাকিস্তানে গিয়ে নির্বাচন করুক। বিএনপির মতো দেশবিরোধী সংগঠনকে আমরা এদেশে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানে বিতাড়িত করতে চাই।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কল্যাণপুরে ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল এবং ঢাকা-১৫ আসনে কামাল আহমেদ মজুমদারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ পরশ বলেন, আমাদের দরকার একটা অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। কোনো একটি বিশেষ দল নির্বাচনে আসলো বা না আসলো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না, আমাদের বিবেচনার বিষয়ও না। তবে আপনাদেরই নির্ধারণ করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা কি কি করতে পারি।

তিনি বলেন, সকলেরই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। আমরা কাউকে বাধা দিবো না। তবে সবার নির্বাচন করার অধিকার থাকলেও বিএনপির ব্যাপারে আমাদের কোনো ছাড় নাই। যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের বাংলাদেশে নির্বাচন করার অধিকার নাই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের সহনশীল হতে হবে এবং সকলকে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে অন্যের ভোট দেওয়ার পরিবেশ রক্ষা করা। বিশৃঙ্খলা এবং হট্টগোল সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই তাদের নিজেদের কারণে। দুটি কারণ- প্রথমত, তাদের নিজস্ব দুর্বলতা। দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব। নেতৃত্ব কে দিবে? দ্বিতীয়ত, তারা ভোটে যেতে সাহস পায় না। কারণ তারা যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এখনও মারছে। একারণে তাদের নির্বাচনে আসার কোনো আগ্রহ নাই এবং এদেশের জনগণ তাদেরকে বর্জন করেছে। তারা তা ভালোই বুঝতে পারছে।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, গণমানুষের সম্পদ, গণপরিবহন পুড়িয়ে জনগণের সমর্থন পাওয়া যায় না। তাদের রাজনৈতিক কৌশল আমাদের মতো মানুষের বোধগম্য নয়। কারণ শুধু তারেক জিয়ার মতো সন্ত্রাসী এবং দুর্বৃত্তের মাথা থেকেই এমন উদ্ভট ও নাশকতার মতো রাজনৈতিক কৌশল আসতে পারে। লন্ডন থেকে হুকুম দেয় আর এখানে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। আপনারা দেখেছেন গত দুই দিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও ছেলেকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা। অপরদিকে জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

যুবলীগের এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের সকল নির্বাচনী সংস্কার ইভিএম, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, ডিজিটাল ভোটার আইডি সবকিছু আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান। এখন জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে তারা কাকে ভোট দেবে। তাদের সে অধিকার আছে।

এ সময় অন্যান্য নেতারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বোঝে কাদেরকে ভোট দিলে ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। আমার বিশ্বাস আগামী ৭ জানুয়ারি এদেশের জনগণ নৌকাতেই ভোট দেবে। মানুষের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। অগ্নিসন্ত্রাস করে আর দু-একটা ককটেল ফাটিয়ে আওয়ামী লীগকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব না।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ