প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৮:০২ পিএম
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় -নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন ক্রমেই বেগবান হবে। ডান-বাম এবং মধ্যপন্থীদের সম্মিলিত এই আন্দোলনে নিশ্চিত এই সরকারের পতন ঘটবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলো দিয়ে স্বাধীনতার সূর্যকে সাজিয়েছেন, যাদের বুদ্ধিমত্তায় রাজনৈতিক নেতৃত্বে স্বাধীনতার বিজয়, যাদের মেধায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলোকিত- আমরা ১২ দলীয় জোট সে সকল মহান বুদ্ধিজীবীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তির সংগ্রামে ১৯৭১ সালে সারা বাংলার মানুষ যেভাবে একত্রিত হয়েছিল, একইভাবে এই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধেও আমরা ঐক্যবদ্ধ। সমগ্র বাংলাদেশে আজ বিরোধী দল এবং দেশের জনগণ মুক্তির সংগ্রামের সৈনিক।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সংগ্রামে রাজপথে নেমে এসেছে। এই সরকার জুলুমবাজ, দুর্নীতিবাজ ও অত্যাচারী সরকার। তাদের হাতে যেমন দেশ নিরাপদ নয়, তেমনি জনগণের অধিকারও অনিরাপদ। সুতরাং এই সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণ তাদের দাবি আদায় না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।
১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে করুণ অবস্থা চলছে। অনাহারে -অর্ধাহারে অসংখ্য পরিবার জীবন-যাপন করছে। বহু পরিবারের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে একটি সভ্য রাষ্ট্র চলতে পারে না।
বিবৃতিদাতারা হলেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম প্রমুখ।
জেকেএস/