প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ০২:৫৯ এএম
যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য তাদের নির্বাচিত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
শরিকদের কতগুলো আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নয়, রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন বণ্টন প্রয়োজন মনে করছে না জাতীয় পার্টি।
বিরোধী দলে থেকে জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলটি স্বাধীনভাবে নির্বাচন করছে। কোনো কোনো আসনে তারা আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়। সব সময় এটা হয়ে আসছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। সমঝোতার ক্ষেত্রে কে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য তা বিবেচ্য হবেই।
জাতীয় পার্টিসহ শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গেল ১৫ বছর বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি আমাদের রাজনৈতিক সহযাত্রী হিসাবে কাজ করছে। দলটি ২০০৮ সালে আমাদের মহাজোটে ছিল। তাদের সঙ্গে কৌশলগত জোট হতে পারে, সেজন্যই তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে ও করতে চায়।
তিনি বলেন, এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও এখনো প্রতি আসনে সাতজন করে প্রার্থী আছেন। এখন একটি দল নির্বাচনে না এলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না, এমন কথা কোথাও লেখা নেই। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও অনেক বড় নেতার দল অংশগ্রহণ করেনি। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় অগ্নিসন্ত্রাস হচ্ছে, কিন্তু তা নিয়ে নাগরিক সমাজের কোনো বিবৃতি নেই। বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। যখন সারা দেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে, তখনই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সে আওয়াজটা সচেতন নাগরিক ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকে আশার কথা। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমি নাগরিক সমাজের একটি বিবৃতিও দেখিনি। নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলেন, সেগুলো আমরা গুরুত্বসহকারে দেখি। কিন্তু আজকে অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে নাগরিক সমাজের কোনো বক্তব্য নেই। নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী বলে যারা সমাজে পরিচিত, বিভিন্ন সময়ে বিবৃতি দেন তারা এখন নীরব আছেন। তাদের চিহ্নিত করা দরকার।
এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর একটি বক্তব্যেরও জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি দল থেকে নেতাকর্মীদের ভাগানোর রাজনীতি করছে। আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। সারা দেশে একেবারে কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির নেতারা দল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা এ দলটি কেন করেন? যে দল আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না। বিএনপি করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচন করতে পারবেন না। আপনারা দলটি করেন কেন? আজ কম্বলের তলা থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী সময়ে রিজভীরা দেখবেন, তারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।
জেকেএস/