প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৩, ১০:২৬ পিএম
রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকসহ তিনজনকে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া অপর আসামিরা হলেন- যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ মিয়া। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২ নভেম্বর তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ মিয়া। আসামিপক্ষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১ নভেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমিনুলকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেকে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। সমাবেশে গ্রেফতার আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া দিলে তারা কাকরাইল মোড়ের দিকে আসে এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে।
একপর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাইরাইল, নয়াপল্টন ও বিজয়নগর ত্রিমুখীভাবে পুলিশের ওপর ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখে এবং বিজয়নগর হোটেলের নিচে থাকা মোটরসাইকেলসহ স্থাপনা ও রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করে। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ইট পাটকেল, দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও ফোর্স আহত হন। এ সময় আসামিরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে একটি পিস্তল, দুটি শর্টগান, একটি চায়না রাইফেল, একটি গ্যাসগান, গুলি ও সরকারি অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন