প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৩, ১১:২৭ পিএম
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রোববার তাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মির্জা আব্বাসের আইনজীবী কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানির একপর্যায়ে মির্জা আব্বাস বলেন, এর আগেরবার যখন আমাকে ও মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন আমাদের কারাগারে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল। এবার আমাকে রাখা হচ্ছে ফ্লোরে। এবার তো হেঁটে আসছি। এর পরের বার হয়তো হুইলচেয়ারে করে আমাকে আসতে হবে।
তখন বিচারক বলেন, আমরা তো হাইকোর্টের মতো সরাসরি আদেশ দিতে পারি না। আপনারা আবেদন করেছেন তা আমি দেখব।
বিচারক আব্বাসের আইনজীবীকে বলেন, উনার কি আর কোনো মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, না চাওয়া হয়নি। তখন বিচারক বলেন, আজ আদেশ কী দেয় দেখেন। না হলে ৮ নভেম্বর মামলার ধার্য তারিখে শুনব এ বিষয়ে।
তখন মির্জা আব্বাস বলেন, আজ তো হেঁটে উঠেছি। কারাগারে এভাবে চলতে থাকলে ওই দিন হয়তো হুইলচেয়ারে করে আসতে হবে।
আজ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। আব্বাসের আইনজীবী শাহিনুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম সাফাই সাক্ষী নিতে আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর সাফাই সাক্ষীর জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (আদালতে হাজিরের আবেদন) জারি করা হয়। এ দিন মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। মির্জা আব্বাস একটা মামলায় গ্রেফতার হয়ে শাহজাহানপুর থানায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর তাকে রোববার (৫ নভেম্বর) আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত।
৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালত তার জামিন বাতিল করে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ওই দিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন