প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ০৩:৫৭ এএম
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবরের মতো যদি আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে তাহলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সোমবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ সমাবেশ থেকে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে দিল। আমি আমার বাসা থেকে সব দেখেছি। আমার বাসার স্টাফরাও ছিল। তারা বলেছে এটা প্রধান বিচারপতির বাসা। ওরা (বিএনপি কর্মীরা) বলছে- এটাই আগে ভাঙতে হবে, বিচার করে-করে আমাদের লোকজনদের ফাঁসি দিচ্ছে বিচারপতিরা। তারা জেনে বুঝে সুপরিকল্পিতভাবে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। যারা হামলা করেছে তারা রাজনৈতিকভাবে বিএনপির প্রথম লাইনের কর্মী এবং তারা সচেতন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীর কোথাও নেই যেখানে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়, পুলিশের গাড়ি পোড়ানো হয়। এমনকি মাদক কারবারীরাও পুলিশকে সমীহ করে।
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাব না। সকাল বিকাল সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি। এসবের মধ্যে কি আলোচনা করা সম্ভব। তাদের তো শর্তপূরণ করতে হবে, তারপর আলোচনা হবে। দরজা বন্ধ করে তো আলোচনা হবে না। চাইলেই আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানো যাবে না।
সারা পৃথিবীতে অনেক সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে। সংলাপের তো কোনো বিকল্প নেই। সেটি আমাদের করতে হবে। আমরাও বলি এবং আমরাও মনে করি সংলাপের মাধ্যমেই আমাদের এই সমস্যা সমাধান করতে হবে।
সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ তো এই মুহূর্তে নেই। কাজেই সেটা তো হবে না। নির্বাচন কমিশন তো আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই করা হয়েছে। সেই নির্বাচন কমিশন না থাকলে নির্বাচন হবে কেমনে?
তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠন করে কার্যকর করতে হবে, সংসদ বসতে হবে। এই বেসিক ইস্যুগুলো তারা যদি মেনে নিত তখন আমরা অবশ্যই তাদের সঙ্গে বসে কিভাবে নির্বাচনকে সুন্দর করা যায়, কোন কোন এসপি বা ডিসিকে সরাতে হবে তারা বলে। সেটা যদি বলে বা অন্য কোনো প্রস্তাব দেয় সেটা আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা যেতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে, পালানোর জায়গা পাবে না- প্রতিদিন এই কথা বললে কী সংলাপ হবে? সেই সংলাপ তো ফলপ্রসূ হবে না। আমরা সংলাপের বিরুদ্ধে না কিন্তু দরজা বন্ধ করে দিয়ে তো সংলাপ করা যাবে না।
এ সময় বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ নির্বাচন হবে এবং আমি মনে করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। একটা মুহূর্তে তখন তারাও নির্বাচনে আসবে। তারা আন্দোলনে সফল হতে পারবে না।
কিসের ওপর ভিত্তি করে বলছেন যে তারা নির্বাচনে আসবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তাদের প্রস্তুতি আছে, বড় দল। আমরা আন্দোলন করছি তারাও করছে। যখন স্বীকার করবে নির্বাচন করবে আলাপ-আলোচনা করে তারাও মনোনয়ন দেবে। এমন তো না যে তারা নতুন ক্ষমতায় আসছে, তারা তো আগেও ক্ষমতায় ছিল। কাজেই তাদেরও প্রস্তুতি আছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন