প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৩:২১ এএম
সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেয়ায় কোনো জবাবদিহিতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই কোথাও জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহিতা না থাকলে মানুষের কোনো অধিকার আশা করা যায় না। দেশের ক্ষমতা এখন এক ব্যক্তির হাতে। বর্তমান সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত থাকে। তাই নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা সঠিক বিচারও পায় না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘সংখ্যালঘুদের জমি ও সম্পদ দখলের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জড়িত বলেই দেবোত্তর সম্পত্তি আইন পাস করছে না সরকার।’
এদিকে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে শঙ্কার কথা জানান বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত।
তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে।
প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং মহাসচিবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হতে পারে। এর কয়েকদিন পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে বিএনপির ওপর দোষারোপ করতে পারে। এমন বাস্তবতায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়ণ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পার্বত্য ভূমি কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনের বাস্তবায়ন এবং দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়নের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের অংশ হিসেবে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খুষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত ও রঞ্জন কর্মকার, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালি উপস্থিত ছিলেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/