• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আইনমন্ত্রী ‌‘নৌকা মার্কা আইন’ দেখাচ্ছেন: রিজভী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম

আইনমন্ত্রী ‌‘নৌকা মার্কা আইন’ দেখাচ্ছেন: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিলে তিলে শেষ করে দেয়ার জন্য সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, এক্ষেত্রে আইনমন্ত্রী যে আইন দেখাচ্ছেন তা নৌকা মার্কা আইন।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা দলের লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে যেতে দেবে না বলে সরকার নানান টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি নেতারা। তাদের অভিযোগ, কারাগারেই বেগম জিয়াকে অসুস্থ করে তোলা হয়েছে।

এদিন রুহুল কবির রিজভীও একটি অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতায় থাকতে সরকার প্রধান যা খুশি তাই করছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়। শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে স্বঅবস্থানে যাওয়ার পরে অন্যকিছু বিবেচনা করা যাবে।

আনিসুল হক বলেন, আদালত খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়েছেন। এখন আইনের পরিবর্তন না করে তাকে মুক্তি দেয়া যাবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে হলে, তার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করতে হবে।

আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে না পাঠাতে আইনমন্ত্রী যে আইন দেখাচ্ছেন তা নৌকা মার্কা আইন। বেগম জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেই বিদেশে পাঠাবে না সরকার। ষড়যন্ত্র করে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি যাতে স্বাভাবিকভাবে রাজনীতি করতে না পারেন সেই চক্রান্ত হচ্ছে।

এদিকে দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গে টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার সিন্ডিকেট বান্ধব সরকার। দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তারা। কারণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সরকারের লোক।

দুটি মামলায় সাজা হওয়ায় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকায় তিনি কারামুক্ত রয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ের পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন একই আদালত।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর থেকে মুক্তির মেয়াদ বাড়তে থাকায় তাকে আর কারাগারে যেতে হয়নি।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ