• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএনপির তিন নেতার সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০২:৪০ এএম

বিএনপির তিন নেতার সিঙ্গাপুর যাওয়া নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির তিন নেতা সিঙ্গাপুর গেছেন। পত্রপত্রিকায় দেখলাম- এটি কি আসলে চিকিৎসা নাকি আরও কোনো ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে তারা একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন।

রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন,পত্রিকায় দেখলাম যে বিএনপির এক অফিসে ছাত্রদল তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কখন যে নয়াপল্টন অফিসে যুবদল তালা লাগিয়ে দেয়, সেটিই দেখার বিষয়। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হয়নি দেখে তাদের ঘরের মধ্যে এখন অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি যে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তাতে কিছু আসে-যায় না। তারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিল, জনগণ বর্জন করেনি, ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন বর্জন করার অধিকার তাদের অবশ্যই আছে। কিন্তু যদি কেউ নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে, এ দেশের মানুষ কঠোর হস্তে তা দমন করবে।

সেইসঙ্গে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, এটি ২০১৪ সাল নয়, এটি ২০২৩ কিংবা ২০২৪ সাল। সুতরাং এখন ওই ২০১৩-২০১৪ সালের অরাজকতার পুনরাবৃত্তির অপচেষ্টা দেশের মানুষ করতে দেবে না।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি নেতাদেরকে দায়ী করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মুশতাক এবং জিয়া আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারেক জিয়া। তারা আসলে হত্যার রাজনীতিটাই করে। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই জিয়াউর রহমানের উত্থান এবং ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য এই হত্যা সে অব্যাহত রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে যখনই সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে, তখনই নির্বিচারে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং জওয়ানদের হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি দশ বছর ক্ষমতায় ছিল কিন্তু জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। কারণ কেঁচো খুড়তে সাপ বের হবে সে জন্য।

এ সময় আইভি রহমানসহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইভি রহমান কর্মীবৎসল নেত্রী ছিলেন। সবসময় কর্মীদের খোঁজখবর রাখতেন, কর্মীদের সঙ্গে থাকতেন, কর্মীদের সঙ্গে বসতেন, একইসঙ্গে তিনি অত্যন্ত সৌখিন ও সম্ভ্রান্ত মানুষও ছিলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাড়ির সামনে সুন্দর ফুলের বাগানটা তার হাতে গড়া।

আইভি রহমান পরিষদের আহ্বায়ক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন, আইভি রহমান পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান খোকা, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠন, ডিইউজের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, গ্রেনেড হামলায় আহত এড. কাজী সাহানারা ইয়াসমীন প্রমুখ।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ