প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৩, ০৩:১৬ এএম
বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের শত্রু একটি রাজনৈতিক অপশক্তি আজকে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নতুন করে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা শেখ হাসিনার অর্জন ও অগ্রগতিকে রুখে দিতে মহা চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলেন শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এতদিন শুনেছি তার একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। এখন তাদের এক দফা শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আমার একটি প্রশ্ন রয়েছে তারা কি সুষ্ঠু নির্বাচন চায় নাকি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তাদের মূল লক্ষ্য সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। কোনো একজন পলাতক দণ্ডিত আসামির ইশারায় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। বাংলাদেশের শুরু থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রথম এবং প্রধান শক্তি হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রধানমন্ত্রী সবসময় এ ছাত্রলীগকে নিয়ে গর্ব করেন। ছাত্রলীগ দেশের যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিজেদের প্রস্তুত রেখেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আপনাদের অশুভ স্বপ্নকে জীবনের তরে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে।
দেশের মানুষ সংবিধানিকভাবে নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য দেশের সব মানুষ প্রস্তুত। তারা সংবিধানিকভাবেই এদেশে নির্বাচন চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথে যারা বাধা হবে তাদের স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না।
শেখ কামাল দক্ষ সংগঠন ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মদিন আমরা পালন করছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কী শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা। নিশ্চয়ই তা নয়। বঙ্গবন্ধুর পরিবার হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে তারা হত্যা করেছিল। কামাল ভাই সেতার বাদক ছিলেন। তিনি একজন নাট্যকর্মী ছিলেন। তিনি কবিতা পছন্দ করতেন। খেলার জগতে আধুনিকতার ছাপ বিশেষ করে ফুটবলে তিনি এনেছেন। তিনি সবকিছুর মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলাম।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফী বিন মোর্তুজা।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের নেতারাও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/