প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম
ডেঙ্গু মারাত্মক; তবে বিএনপি তার চেয়েও বেশি মারাত্মক। ডেঙ্গু কামড়ায় আর বিএনপি জীবন্ত মানুষ পোড়ায় --- কথাগুলো বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়ি চত্বরে কৃষক লীগের এডিস মশক নিধন ও সচেতনতা শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে না; তাদের রাজনীতি খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ও বেগম জিয়ার পরিবারের জন্য। বিএনপিকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে চায় খালেদা ও তারেক। সে কারণে কর্মসূচিতে তারা লাঠি নিয়ে হাজির হয়।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি একটি ব্রত; এটা মানুষের কল্যাণের জন্য। সে ব্রত নিয়েই চলে আওয়ামী লীগ। সে কারণেই যখন দেশে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক আসে, এ দল মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিরোধী দলে থাকলেও আমরা তাই করেছি। দলীয় নেত্রী আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন।
‘করোনা মহামারির সময়েও মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতা, মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য মারা গেছে। এছাড়াও দলের প্রায় এক হাজারের মতো নেতাকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রোগটি নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, কোভিডের মতো ডেঙ্গুও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সরকার। সে জন্য দরকার সামাজিক আন্দোলন, রাজনৈতিক কর্মসূচি। কিন্তু কোনো দল আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো কর্মসূচি নেয়নি, আওয়ামী লীগ নিয়েছে। কোভিডের সময় বিএনপি ফটোসেশন ছাড়া কিছু করেনি।’
বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাবার পুটলা ভরে নিয়ে গেছেন গয়েশ্বর। এটা কি পুলিশ বাধ্য করেছিলো? ভেতরে এক কথা বলছেন, আর বাইরে গিয়ে অন্য কথা বলছেন - এটা তাদের দ্বিচারিতা।’
বিএনপির কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ডেঙ্গু ভয়ংকর, তাই নিধন করতে হবে। বিএনপি আরও ভয়ংকর। সে কারণে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, যে দলের নেতারা বোরকা পরে হাইকোর্টে হাজির হন, তাদের দিয়ে আন্দোলন হয় না। মানুষ সেই দল কেন করবে, যে দল করলে কোনো নির্বাচন করা যায় না?
জেকেএস/