প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০১:৪০ এএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এই দিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করে। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা।
রোববার (১৬ জুলাই) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস। ওয়ান-ইলেভেনের অসাংবিধানিক ও অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের এই দিনে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করে। সেদিন শুধু শেখ হাসিনাকে অবরুদ্ধ করা হয়নি, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণদাবির মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির বাসভবন সুধাসদন ঘেরাও করে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে সুধাসদন থেকে বের করে নিয়ে আসেন এবং তাকে বন্দি অবস্থায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করেন।
ওইদিন আদালত প্রাঙ্গণে ছিল হাজারো নেতাকর্মীর উপচেপড়া ভিড়। তবে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আইন বহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
সেই সময় দলীয় সভাপতির মুক্তির দাবিতে ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জমা দেয় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।
গ্রেফতার পূর্ব মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্র প্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্যদিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।
জেকেএস/