প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অতি সন্নিকটে। যার কারণে তারা এখন প্রলাপ বকছে। পতন সন্নিকটে দেখে তারা তাদের অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আশা করি, সরকার তা আর করবে না। কারণ যতই অত্যাচার করুক, এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এদেশের মালিক জনগণ। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ঈদের পর একদফা আন্দোলন করব। এদেশ কারও রাজত্বে চলে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, জনগণ আজ অতিষ্ট। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। এ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হলে, হাইজ্যাক হওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে একদফা আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আজ আমাদের অনেক কর্মী জেলে আছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করতে পারব।
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার বলছে উন্নয়ন উন্নয়ন। কীসের উন্নয়ন? দেশে উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, আর এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রজেক্টর নামে অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করা। যার কারণে আজ ডলার সংকট, টাকার সংকট। যত সংকট তা টাকা পাচারের জন্য।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়া এদেশের উন্নয়নের স্থপতি। তিনিই উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। উন্নয়নের যে অগ্রগতি; তা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যে গণতন্ত্র শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে গণতন্ত্র আজ হাইজ্যাক হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সবকিছুর সব কয়েকগুণ বেড়েছে। এর কারণ অবাধ লুটপাট। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আনতে হলে, বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিএনপি ও অঙ্গ -সহযোগী সংগঠনের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এডিএস/