প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন আত্মদহনে দগ্ধ। ভুল রাজনীতির খেসারত দিচ্ছে তারা। স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়েও মনোজগতে তারা এখনও পরাধীনতায় বিশ্বাসী। পাকিস্তানি ভুত তাদের মাথা থেকে যায়নি।
শনিবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,
তারা (বিএনপি নেতারা) জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। যাদের জন্ম এবং বিকাশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা সে বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। এটাই সত্যি। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের পাশে আছে, জনগণের পাশেই থাকবে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএনপিই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার হরণে বিএনপি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। যারা দেশকে ভঙ্গুর এবং পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিল, তারা আজ দেশের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে সমালোচনা করে। তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের ফানুস উড়াচ্ছে। এদেশের অর্থনীতিকে আজ শক্তিশালী কাঠামোর উপর দাঁড় করিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে এক উদীয়মান শক্তি। দেশের এই অর্জন-সমৃদ্ধি তারা কখনও মেনে নিতে পারে না। বিএনপি রাজনীতি হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা এবং দ্বিচারিতায় পূর্ণ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,
বেগম জিয়াকে সরকার আটক করে রাখেনি। তিনি আদালতের রায়ে শাস্তি ভোগ করছেন। বরং শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাহী আদেশে তার শাস্তি স্থগিত রেখেছেন এবং তাকে বাসায় অবস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার এ বদান্যতার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল। অথচ তারা কৃতঘ্নতার পরিচয় দিচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এ দেশে জিয়া পরিবারের গল্প মানুষ জানে। ভাঙা স্যুটকেসের গালভরা গল্প মানুষ ভুলে যায়নি। ভাঙা স্যুটকেস থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে জনগণ। বিএনপি শাসনামলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। বিদেশে পাচারকৃত জিয়া পরিবারের অর্থের কিছু অংশ দেশে ফেরতও আনা হয়েছে।
এডিএস/