প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোটা দেশটাকে আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মাঠ বানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান দেশে সার্বভৌমত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কোনো দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো টু শব্দ করতে পারতেন না, গোপন ষড়যন্ত্র তো সবসময় থাকে। কিন্তু আজকে শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশের যে মর্যাদা সেটি ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) ঢাকা জেলা শাখা।
রিজভী বলেন, আজকে শেখ হাসিনা সেন্টমার্টিন দ্বীপ দেননি বলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এজন্য তো তিনিই দায়ী। তিনি দিনের ভোট রাতে করেন। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন। তিনি ভোট চুরি নয় ভোট ছিনতাই করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। জনগণ তো এখন ভোট দিতে যায় না। আর শেখ হাসিনার নির্বাচন কমিশন বলে যে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। আসলে জনগণ এটা বিশ্বাস করে না। এখন শেখ হাসিনার সরকারকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) ভোট চুরি করে কেন অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। আপনি চুরিতো আগেও করেছেন, এখন ভোট ডাকাতি আর ছিনতাই করছেন। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশন আপনার বশীভূত, আপনার নির্দেশেই স্টেটমেন্ট দেন যে, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এইটা না দিলে তো প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদ থাকবে না। এটা আউয়াল সাহেব খুব ভালো করে জানেন।
রিজভী বলেন, কোথাও কোথাও নাকি সিটি নির্বাচন হলো অথচ জনগণ তা জানেই না, তারা খবর রাখে না। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে ভাই ভোট হলো কোথায়? কবে ভোট হয়েছে আমি নিজেই তো জানি না।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে উন্নয়নের ইন্দ্রজাল তৈরি করেছে সরকার। তাদের লোকজনই বিদেশে সাড়ে দশ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এত টাকা পাচার হয় কীভাবে? অনেকেই বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতি হলে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই ধরা পড়ে যাবে যে এই সারে ১০ হাজার কোটি টাকা কারা সরিয়ে ফেললেন। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে থেকে জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন তাদের বিচার এই দেশেই হবে।
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা নাকি মাথানত করেন না। তাহলে আমেরিকার সহযোগিতার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছেন কেন? আসলে উনি তলে তলে ঘুষ দিয়ে নিজের পক্ষে রাখার চেষ্টা করেন। মনে রাখতে হবে সবাই কিন্তু ঘুষ খান না।
সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এইচএম আমিনুর রহমান আমিনের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী মো. জুয়েল রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, তাঁতী দলের খন্দকার হেলাল উদ্দিন, সিলেট জেলা বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক তামিম ইয়াহিয়া আহমদ প্রমুখ।
জেকেএস/